গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ আগমনের সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
স্কুল শিক্ষক থেকে পুরসভার কর্মী। জেলা প্রশাসনের আধিকারিক থেকে কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়েই এই কাজে লাগানো হয়। সুতরাং একটি রাজ্য সরকার যদি সম্পূর্ণভাবে এনপিআর প্রক্রিয়ায় অংশ নিতেই অস্বীকার করে, তা হলে বিকল্প কী? আগামীকাল সব রাজ্যকে নিয়ে বৈঠকের আগেই আজ স্বরাষ্ট্রসচিব, রেজিস্ট্রার জেনারেল এবং পরিসংখ্যান দপ্তরের মধ্যে একটি বৈঠক হয়েছে। রাজ্য প্রশাসনকে বাদ দিয়ে কোনওভাবে কি জনগণনা তথা এনপিআরের কাজ করা সম্ভব? এই প্রশ্ন নিয়েই আজ আলোচনা হয়েছে দীর্ঘক্ষণ।
মন্ত্রী অমিত শাহ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক আশা করছে, আগামীকাল অবিজেপি অনেক রাজ্যই বৈঠকে অংশ নেবে। আর তাতেই প্রমাণ করা যাবে যে, নাগরিকত্ব ইস্যুতেও বিরোধীদের মধ্যে বিভাজন প্রকট। সম্প্রতি যে সর্বদলীয় বৈঠক হয়েছে, সেখানে তৃণমূল, বহুজন সমাজ পার্টি, সমাজবাদী পার্টি, ডিএমকে, শিবসেনা ইত্যাদি প্রথম সারির বিজেপি বিরোধী পার্টিই আসেনি। এবার যদি দেখা যায় এনপিআর নিয়ে বৈঠকেও একইভাবে বিরোধী জোটের প্রস্তাব অগ্রাহ্য করে কিছু অবিজেপি সরকার হাজির হয়েছে, তাহলে সেটাও হবে বিজেপির কাছে যথেষ্ট ইতিবাচক বার্তা।
এদিকে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বৈঠক বয়কট করে একঝাঁক আঞ্চলিক দল যেমন বিভাজনের বার্তা স্পষ্ট করেছে, তেমনই সামগ্রিকভাবেও কংগ্রেসের সঙ্গে বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের দূরত্ব তৈরি হচ্ছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগের। শিবসেনা গতকাল ইন্দিরা গান্ধী সম্পর্কে অস্বস্তিকর মন্তব্য করায় কংগ্রেস যথেষ্ট ক্ষিপ্ত। কিন্তু সব থেকে বড় সমস্যা তৈরি হয়েছে তামিলনাড়ুতে। ডিএমকের সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্ক তলানিতে। আজ ডিএমকে দলের পক্ষ থেকেই স্পষ্ট বলা হয়েছে, কংগ্রেস যদি জোটে থাকতে না চায়, তাহলে তারা জোট ছেড়ে দিতে পারে। ডিএমকের কোনও ক্ষতি হবে না। একইভাবে পশ্চিমবঙ্গেও সিপিএমের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কংগ্রেস মমতা বিরোধী অবস্থান কঠোর করায় পরিস্থিতি জটিল হয়েছে। মমতাও পাল্টা বার্তা দিয়েছেন, সর্বভারতীয় স্তরে কংগ্রেসের সঙ্গে আগ বাড়িয়ে তিনি কোনও জোট করবেন না। সুতরাং এনআরসি নিয়ে যেভাবে একটি সামগ্রিক বিরোধী জোট তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা গিয়েছিল, সেটি খুব বেশি জোরালো যে হবে না তা ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে। যা নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপিকে অনেকটাই আশ্বস্ত করছে। মোদি, সোনিয়ার ফাইল চিত্র