গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ আগমনের সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কৌতুহলী নাগরিকের থেকেও মতামত সংগ্রহ করবে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। তারপর সংযোজন এবং পরিমার্জন করে চূড়ান্ত হবে বিরল ব্যাধি নিরাময়ের নীতি। ‘ন্যাশনাল পলিসি ফর ট্রিটমেন্ট অব রেয়ার ডিজিস’ নামে ২০১৭ সালে একটি নীতি তৈরি হলেও তা ঠিক মতো কাজে দিচ্ছে না। তাই তা সংশোধন করতে চাইছে কেন্দ্র। তাই গরিব এবং আয়ুষ্মান ভারতের অন্তর্গত সুবিধাভোগীদের জন্য এই নীতি সামনে রেখে বিরল এবং দুরারোগ্য ব্যাধির চিকিৎসা ব্যবস্থায় আমুল বদল আনার উদ্যোগ নিয়েছে মোদি সরকার।
সরকারের পাশাপাশি বিরল চিকিৎসার খরচ জোগাতে কোনও সহৃদয় ব্যক্তি বা সংস্থা যদি আর্থিক অনুদান দিতে চান, তাও সাদরে গ্রহণ করা হবে। প্রাথমিকভাবে বিরল রোগের চিকিৎসার জন্য কলকাতার পিজি হাসপাতালের পাশাপাশি নয়াদিল্লির এইমস, মৌলানা আজাদ মেডিক্যাল কলেজ, লখনউয়ের সঞ্জয় গান্ধী পিজিআইএমএস, পিজিআই চণ্ডীগড়, মুম্বইয়ের কিং এডওয়ার্ড মেডিক্যাল হসপিটাল, হায়দরাবাদের সেন্টার ফর ডিএনএ ফিঙ্গারপ্রিন্টিং অ্যান্ড ডায়গনেটিক্স এবং বেঙ্গালুরুর সেন্টার ফর হিউম্যান জেনেটিক্সকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকেরই হিসেব অনুযায়ী, নানাবিধ বিরল রোগের চিকিৎসার খরচ ১০ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে কখনও এক কোটিও ছাড়িয়ে যায়। তাই ওইসব বিরল এবং দুরারোগ্য রোগের চিকিৎসায় কেন্দ্রীয় সরকার গরিব রোগীকে এককালীন ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দেবে বলে ঠিক করেছে।
সোসিও ইকোনমিক কাস্ট সেনসাস মোতাবেক যারা প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা (সহজ কথায় আয়ুষ্মান ভারত)-এর অন্তর্ভুক্ত, তাদের এই আর্থিক সাহায্য করা হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকই জানিয়েছে, ভারতে বিরল ব্যাধিতে আক্রান্তের সংখ্যা কত, তার কোনও সঠিক হিসেব কেন্দ্রের কাছে নেই। তবে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তুলনা করে মোদি সরকার আপাতত ৪৫০টি রোগের নাম ঠিক করেছে। এরপর আরও আলোচনা, বিশেষজ্ঞদের মতামতের ওপর ভিত্তি করে তালিকায় সংশোধনী আনা হবে। ‘ন্যাশনাল পলিসি ফর রেয়ার ডিজিজেস ২০২০’ নীতি চূড়ান্ত করতে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পরামর্শ নেওয়া হবে।