গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ আগমনের সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
রবি জানিয়েছেন, গোয়ালিয়রের আয়কর অফিস ২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর এই নোটিস জারি করেছে। তাতে চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারির মধ্যে ৩ কোটি ৪৯ লক্ষ টাকা জরিমানা জমা দিতে বলা হয়েছে। তিনি আরও জানান, ২০১১-১২ সালে তিনি ইন্দোরের একটি বিপিওতে কাজ করতেন। তাঁর বাত্সরিক বেতন ছিল মাত্র ৬০ হাজার টাকা। তা সত্ত্বেও, এই বিপুল টাকা লেনদেনের ঘটনায় জালিয়াতির গন্ধ পাচ্ছেন তিনি। এপ্রসঙ্গে ওই বিপিও কর্মীর দাবি, কেউ তাঁর প্যান নম্বর ব্যবহার করে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে এই প্রতারণা করেছে। যদিও, ঘুণাক্ষরে কিছু টের পাননি।
এই বিষয়ে গোয়ালিয়রের আয়কর আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা বলেছিলেন রবি। কিন্তু, তাঁরাও বিশেষ আমল দেননি। এরপর, তিনি নিজেই খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেন। তাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে বলে দাবি করেছেন ওই বিপিও কর্মী। তিনি জানান, সুরাতের একটি হিরে সংস্থা মুম্বই অফিস থেকে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট তৈরি করে এই লেনদেন করেছে। ঘটনাচক্রে সেই সংস্থার মালিক হলেন পিএনবি দুর্নীতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত পলাতক মেহুল চোকসি ও নীরব মোদি।
এই নিয়ে অভিযোগ জানাতে গোয়ালিয়র ও লুধিয়ানা পুলিসের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রবি গুপ্তা। যদিও, তাঁকে মুম্বইয়ে গিয়ে অভিযোগ জানাতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই বিপিও কর্মী। তবে, প্রাণ ভয়ে মুম্বই যেতে সাহস পাচ্ছেন না তিনি। রবির কথায়, মুম্বইয়ে এই জালিয়াতির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে যেতে আমার ভয় লাগছে। কারণ, যারা আমার প্যান কার্ড জাল করেছে, তারা আমার ক্ষতিও করে দিতে পারে।