যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
এর আগে দেবেগৌড়া সাফ জানিয়েছিলেন, রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হলে তাঁর সমর্থন থাকবে। এদিন তিরুপতি বালাজির মন্দিরে পুজো দিতে আসেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ছেলে তথা কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীও। পুজো দেওয়ার পর সাংবাদিকদের দেবেগৌড়া বলেন, নির্বাচনের ফলাফল দেশের রাজনৈতিক চিত্র পরিষ্কার করে দেবে। আমরা কংগ্রেসের সঙ্গেই আছি। বাড়তি আর কিছু বলতে চাননি এই প্রবীণ নেতা। আর কুমারস্বামী এদিন দাবি করেন, কর্ণাটকের ২৮টি লোকসভা আসনের মধ্যে ১৮ থেকে ১৯টিতে জয়ী হবে কংগ্রেস-জেডিএস জোট। দেবেগৌড়া পুত্রের বক্তব্য, আমরা সহজেই জিতব। এবিষয়ে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। কিন্তু কেন্দ্রে কে সরকার গড়বে? কুমারস্বামীর বক্তব্য, ২৩ মে ফল প্রকাশ পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। আমরা ইতিমধ্যেই কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে সমর্থন দেওয়ার কথা জানিয়েছে। আমাদের অবস্থানে কোনও বদল হয়নি।
কংগ্রেসকে সমর্থনের বার্তা দিলেও কর্ণাটকে দুই দলের মধ্যে সম্প্রতি বেশ কিছু ইস্যুতে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। দুই দলের নেতারাই পরস্পরের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিচ্ছেন। এবিষয়ে এদিন কুমারস্বামীর আর্জি, পরস্পরের বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্য থেকে বিরত থাকুন দুই দলের নেতারাই। কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীর ট্যুইট, কেন্দ্রে নতুন সরকার গঠনের মতো জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছি আমরা। এই মুহূর্তে কেন্দ্রে একটি অ-বিজেপি সরকার গঠনের উদ্যোগ চলছে। এরকম একটি পরিস্থিতিতে কংগ্রেস-জেডিএস নেতারা পরস্পরের বিরোধী মন্তব্য করলে সেই উদ্যোগ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দুই দলের নেতাদের প্রতি আমার আর্জি, প্রকাশ্যে পরস্পরের বিরোধী ও বিতর্কিত মন্তব্য বন্ধ করে কেন্দ্রে সরকার গঠনের এই উদ্যোগকে সমর্থন করুন। কুমারস্বামীর এই আর্জির নেপথ্যে রয়েছে প্রবীণ জেডিএস নেতা বাসবরাজ হোরাত্তির এদিনের একটি মন্তব্য। কর্ণাটকে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা সিদ্ধারামাইয়াকে ফের মুখ্যমন্ত্রী করার দাবি নিয়ে দুই শরিক দলের মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ শুরু হয়েছে। যা নিয়ে বীতশ্রদ্ধ হোরাত্তির দাবি, কর্ণাটক বিধানসভা ভেঙে দেওয়া হোক। দলের এক প্রবীণ নেতা এই মন্তব্য করার পরই এই ইস্যুতে রাশ টানার চেষ্টা করলেন কুমারস্বামী। দুই দলের নেতাদেরই বিতর্কিত মন্তব্য থেকে বিরত থাকার আর্জি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।