যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
বুথ ফেরত সমীক্ষার নেপথ্যে যে বিজেপির ষড়যন্ত্র সক্রিয়, সেবিষয়ে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীও মমতার সুরেই সরব হয়েছেন। একইভাবে কেন্দ্রের শাসকদলের হয়ে নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতিত্ব সম্পর্কে বিরোধী শিবির ঐক্যমত হয়েছে। বুথ ফেরত সমীক্ষার নেপথ্যে কারচুপির অভিযোগকে ঘিরেও বিরোধীদের এক সুর। মমতার মতে, বুথ ফেরত সমীক্ষায় এনডিএর প্রত্যাবর্তনের ‘গপ্পো ফেঁদে’ বিরোধী দলগুলির মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াতে চাইছে বিজেপি। তাঁর দাবি, একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা কেউই পাবে না। তাই বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার যে সম্ভাবনা বুথ ফেরত সমীক্ষাগুলিতে তুলে ধরা হচ্ছে, তা অবাস্তব। এর পিছনে আর্থিক লেনদেনের আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তিনি। মমতার হিসেব, লোকসভা ভোটের ফলাফল ত্রিশঙ্কু হবেই। তাই বিরোধী শিবির ভাঙানো ছাড়া গতি নেই বিজেপির। সেক্ষেত্রে বুথ ফেরত সমীক্ষাই অস্ত্র তাদের।
এই পটভূমিতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতিত্বের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দলগুলিকে এক ছাতার তলায় আনার প্রক্রিয়াই মমতার ইউনাইটেড ইন্ডিয়ার সদর্থক পদক্ষেপ বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা। চন্দ্রবাবুর সঙ্গে আলোচনায় মমতা ইভিএম বদলে দেওয়া সহ নানা কারচুপির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তাঁর বার্তা, সব বিরোধীপক্ষকে সজাগ ও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আজ দিল্লিতে নির্বাচন সদনে সেই ঐক্যের ছবিটাই তুলে ধরতে চলেছে ২১টি রাজনৈতিক দল। মমতার দূত হিসেবে নির্বাচন কমিশনের সামনে ধর্নায় যোগ দেবেন দলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। অর্থাৎ বুথ ফেরত সমীক্ষার জেরে গেরুয়া শিবির আপাত নিশ্চিন্ত হলেও ত্রিশঙ্কু ফলের সম্ভাবনায় কেন্দ্রে বিকল্প সরকার গঠনে মমতার তোড়জোড় অব্যাহত।
এদিন কালীঘাটে চন্দ্রবাবু নাইডু মমতার সঙ্গে প্রায় ৪০ মিনিট আলোচনা করেন। এদিনই আবার সমাজবাদী পার্টির শীর্ষনেতা অখিলেশ যাদব, এনসিপি নেতা প্রফুল্ল প্যাটেল সহ বিভিন্ন নেতা মমতাকে ফোন করেন। অখিলেশ মমতাকে পরিষ্কার জানিয়ে দেন, এক্সিট পোল ফালতু। উত্তরপ্রদেশে মহাজোট ৫০টি আসন পাবেই।