যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
পুলিস ও আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছরের জুলাই মাসে হুগলির ডানকুনির বাসিন্দা অঙ্কিতা সাউ (২৪) এর সঙ্গে দেখাশোনা করেই বিয়ে হয়েছিল উত্তর কলকাতার কাশীপুর রোডের বাসিন্দা রাজেশ সাউয়ের। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই তাঁর স্বামী, ভাশুর ও ভাশুরের স্ত্রী তাঁকে পণের জন্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায়। এ নিয়ে মাঝে মধ্যেই ওই গৃহবধূ তাঁর বাবাকে জানাতেন। বাবা এসে মেয়েকে নানাভাবে বুঝিয়েও যেতেন। কিন্তু তারপরেও পরিস্থিতির কোনও উন্নতি হয়নি। মুখ্য সরকারি আইনজীবী আদালতে বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, মৃত গৃহবধূর স্বামীর সঙ্গে ভাশুরের স্ত্রী’র অবৈধ সম্পর্ক ছিল। তা নিয়ে মাঝেমধ্যে অশান্তি হত স্বামী স্ত্রীর মধ্যে। সরকারি আইনজীবী বলেন, মৃত গৃহবধূ অঙ্কিতা তাঁর মোবাইল ফোনে এই অবৈধ সম্পর্কের কিছু ছবিও তুলে রাখেন বলে অভিযোগ। এসব নিয়ে পরিবারে অশান্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে যায়।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে কাশীপুরে শ্বশুরবাড়িতে ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। খবর পাঠানো হয় থানায়। পুলিস এসে মৃতদেহ আরজিকর হাসপাতালে পাঠায়। চিকিৎসকরা অঙ্কিতাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। সরকারি আইনজীবী জানান, ওই গৃহবধূ চার মাসের গর্ভবতী ছিলেন। এদিকে, ঘটনার পরই পুলিস নির্যাতন ও পণের জন্য অত্যাচার এই অভিযোগ এনে স্বামী সহ তিনজনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করে। রবিবার রাতেই গ্রেপ্তার করা হয় স্বামী ও ভাশুরকে। এদিন আদালতে সওয়াল করতে গিয়ে সরকারি আইনজীবী বলেন, গৃহবধূর মোবাইল ফোনটি বাজেয়াপ্ত হলে অনেক অজানা তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে। তাই সেটি পেতে এবং ভাশুরের অভিযুক্ত স্ত্রীকে খুঁজে বের করতে ধৃতদের পুলিস হেফাজতে নেওয়াটা একান্তভাবে জরুরি। বিচারক সমস্ত নথিপত্র খতিয়ে দেখে সরকার পক্ষের আবেদন মঞ্জুর করেন। যদিও আদালতে ধৃতদের অভিযোগ, তাদের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।