নয়াদিল্লি, ৮ মে (পিটিআই): ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’— এই রাজনৈতিক স্লোগানের সঙ্গে দেশের শীর্ষ আদালতের নাম জড়ানোয় বুধবার সুপ্রিম কোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। তিনি বলেছেন, অনিচ্ছাকৃতভাবে এবং অসাবধানতাবশত তিনি রাজনৈতিক স্লোগানের সঙ্গে রাফাল মামলার রায়ের প্রসঙ্গ টেনেছিলেন। এরজন্য তিনি ক্ষমাপ্রার্থী। শুক্রবার এই শুনানির আগেই এদিন নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে তিন পাতার হলফনামা দাখিল করেছেন রাহুল। প্রসঙ্গত, বিজেপি এমপি মীনাক্ষি লেখি রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে মামলা করেছেন। সেই মামলার অগ্রগতি বন্ধ করার জন্যও আবেদন করেছেন কংগ্রেস সভাপতি। এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রসঙ্গ টানার জন্য হলফনামা জমা দিয়ে দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন রাহুল। এদিন হলফনামায় তিনি বলেছেন, প্রার্থনা করছেন দেশের শীর্ষ আদালত তাঁর এই আবেদন গ্রহণ করবে এবং আদালত অবমাননার ফৌজদারি মামলা থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেবে। জ্ঞানত, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের অপব্যাখ্যা করার কোনও অভিপ্রায় তাঁর ছিল না, নেইও। প্রসঙ্গত, ১০ এপ্রিল রাফাল চুক্তি সংক্রান্ত কিছু নথি প্রামাণ্য তথ্য হিসেবে গ্রাহ্য না করার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল কেন্দ্র। কিন্তু, দেশের শীর্ষ আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। এরপরই রাহুল বলেন, সুপ্রিম কোর্টও বলে দিল ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’। ১৫ এপ্রিলই সুপ্রিম কোর্টের তরফে নোটিস পাঠিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়, এই সংক্রান্ত কোনও রায় তারা দেয়নি। এটা পুরোপুরি রাহুল গান্ধীর মস্তিষ্কপ্রসূত। মীনাক্ষি লেখির আদালত অবমাননার মামলার প্রেক্ষিতে রাহুলকে নোটিস পাঠানো হয়েছিল। তখন তিনি যে হলফনামা জমা দিয়েছিলেন, তাতে ‘রিগ্রেট’ শব্দটি ব্র্যাকেটের মধ্যে লেখা ছিল। সুপ্রিম কোর্ট তখন নিজের ভুল স্বীকার না করার জন্য তাঁকে ভর্ৎসনা করেছিল। রাহুলকে ফের একটি হলফনামা পেশের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। এরপরই তিনি নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে নিতে আর ভুল করেননি। রাহুল স্বীকার করেছেন, উত্তপ্ত রাজনৈতিক প্রচারের সময় উত্তেজনার বশেই তিনি ভুল করে ফেলেছেন। যার জন্য তিনি আন্তরিকভাবে দুঃখিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী।