সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
নিট পিজি’র ফলাফল ইতিমধ্যে শুধু প্রকাশিতই হয়নি, রাজ্যে দ্বিতীয় পর্বের কাউন্সেলিংও শেষ। এই সিদ্ধান্তে কাট অফ নম্বর কমে যাওয়ায় দেশজুড়ে আরও বহু ছাত্রছাত্রীর পক্ষেই এমডি-এমএস’এ ভর্তির সুযোগ খুলে গেল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। প্রতিটি রাজ্যকে নতুন নিয়ম মেনে ছাত্রছাত্রীদের সুযোগ দেওয়া এবং পরবর্তী কাউন্সেলিং করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই সরকারি নির্দেশনামায়। নতুন মেধাতালিকার জন্য রাজ্যগুলি প্রয়োজনে ন্যাশনাল বোর্ড অব এগজামিনার-এর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
এদিকে, দেশজুড়ে আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি লাগু থাকাকালীন এভাবে নিট পিজি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার যোগ্যতামান একলাফে অনেকটা কমিয়ে হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীকে ভর্তির সুযোগ পাইয়ে দেওয়া হয়েছে বলে বিতর্ক উঠেছে। যদিও এ ধরনের বিতর্ক ‘ভিত্তিহীন’ এবং এগুলি ‘রুটিন প্রসেস’-এর অন্তর্গত বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এক পদস্থ কর্তা। এ বিষয়ে বুধবার এমসিআই-এর শীর্ষকর্তা ডাঃ আর কে বৎসের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা হয়। তিনি ফোন ধরেননি। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা (শিক্ষা) ডাঃ প্রদীপ মিত্র বলেন, নতুন নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এদিকে, নিট পিজি’র বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আন্দোলনরত এসইউসিপন্থী সংগঠন সার্ভিস ডক্টর্স ফোরাম-এর রাজ্য সম্পাদক ডাঃ সজল বিশ্বাস বলেন, যদি এরাজ্যের কথা ধরি, তাহলে দেখা যাবে, প্রায় আড়াই হাজার আসনের জন্য নিট পিজি উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা দাঁড়াবে ৫০ হাজার! আসন খালি, তাই কাট অফ নম্বর কমানো হচ্ছে—এই যুক্তি খাটছে না। আসলে অন্য উদ্দেশ্যে এসব করা হয়েছে। গোটা বিষয়টির দিকে লক্ষ্য রাখছি।
প্রসঙ্গত, দেশজুড়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্কট মোকাবিলায় কিছুদিন আগেই একাধিক নিয়ম-নীতি শিথিল করেছিল এমসিআই। বছরে প্রায় ৬৭ হাজার এমডি-এমএস, ডিএম-এমসিএইচ পাশ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরির লক্ষ্য নিয়ে নতুন নিয়মে ১৫ বছর ধরে চালু সরকারি মেডিক্যাল কলেজে মেডিসিন, সার্জারি, গাইনি’র মতো ক্লিনিক্যাল বিষয়গুলিতে অধ্যাপক পিছু তিনজন, সহযোগী অধ্যাপক পিছু দু’জন পিজিটি ছাত্রছাত্রী ভর্তি করানো যাবে। নিট পিজিতে যোগ্যতামান কমানোয় প্রকৃতপক্ষে দেশে আরও বেশি এমবিবিএস পাশ চিকিৎসক এমডি-এমএস পড়ার সুযোগ পাবেন। আসলে আরও বেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরির লক্ষ্য নিয়ে এটা করা হয়েছে, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তবে ভোটের সময়েই কেন করা হল, তা নিয়েও জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে।