সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
বিকেল ৫টায় সভা শুরুর কথা থাকলেও মোদি এলেন পৌনে ৮টায়। তবুও রামলীলা ময়দান ছেড়ে যায়নি কৌতূহলী জনতার কেউই। আগামী ১২ মে রবিবার দিল্লিতে ভোট। তাই দিল্লিতে তিনি কী তোপ দাগেন, তা শুনতেই উৎসাহী ছিল দিল্লি সহ এনসিআরের জনতা। প্রধানমন্ত্রীকে দেখেই উঠল মোদি মোদি রব। ‘ভারত মাতা কী জয়’ ধ্বনির মাধ্যমে নরেন্দ্র মোদি শুরু করলেন বক্তৃতা। নিজেকে সাধারণের প্রতিনিধি হিসেবে তুলে ধরে ভাষণ শুরু করে আদতে পৌঁছলেন কংগ্রেসকে আক্রমণে। বিরোধী জোটকেও দুর্নীতির মহামিলন বলে কটাক্ষ করে পরিবারতন্ত্রকে তোপ দাগলেন। বললেন, ‘রাজস্থানে গেহলট, পাইলট পরিবার, মধ্যপ্রদেশে সিন্ধিয়া, কমলনাথ পরিবার, দিগ্বিজয় সিং পরিবার এই কংগ্রেসের বংশের ধারাকে অব্যাহত রেখেছে। উত্তরপ্রদেশে মুলায়ম সিং পরিবার, বিহারে লালুপ্রসাদ যাদবের পরিবারের নামেই রাজনীতি চলছে। অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক সবখানেই বংশবাদী রাজনীতির ধ্বজা ওড়াচ্ছে বিরোধী দলগুলি। গরিবদের জন্য কোনও জায়গা নেই এসব পার্টিতে।’
এরপরেই কংগ্রেসের ন্যায় প্রকল্পকে কটাক্ষ করে মোদি বলেন, ‘কংগ্রেস আচমকাই ন্যায়ের কথা বলছে। ১৯৮৪ সালে শিখ দাঙ্গায় হওয়া অপরাধের সুবিচার কে করবে? কংগ্রেস যা যা অন্যায় করেছে, তাকে শুধরানোর চেষ্টা করছি আমরা।’ কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে গিয়ে মোদি বলেন, ‘আজ যারা সেনা কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয় বলে আওয়াজ তুলছে, রাজীব গান্ধীর সময় তারা কোথায় ছিল? গান্ধী পরিবারের ছুটি কাটানোর জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল আইএনএস বিরাটকে।’
বিরোধীদের কটাক্ষ করতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে এখনও পর্যন্ত নামপন্থী, বামপন্থী, দমনপন্থীর পর দিল্লিতে নাকামপন্থীদের দেখেছে দেশ। তবে মানুষ বিজেপির বিকাশপন্থীরই পক্ষে।’ তাই দিল্লির ভোটে এবারও বিজেপি জিতবে বলেই দাবি করেন মোদি। বলেন, ‘দিল্লির একেকটা ভোট আসবে মোদির দিকেই। তাই অন্য কেউ নয়। বুথ মজবুত করে বিজেপিকেই ভোট দিন।’