সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
আগামী ১২ তারিখ ষষ্ঠ দফায় দিল্লিতে নির্বাচন। নয়াদিল্লি কেন্দ্রে মীনাক্ষী লেখির বিরুদ্ধে কংগ্রেসের হেভিওয়েট প্রার্থী দু’বারের সাংসদ অজয় মাকেন। আপের প্রার্থী ব্রিজেশ গোয়েল। কংগ্রেসের দাবি, দিল্লিতে প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া তীব্রতর হয়ে উঠেছে। সেই হাওয়ায় বিজেপি ধরাশায়ী হবে। আপের বক্তব্য, জোট ব্যর্থ হওয়ায় বিজেপি বিরোধী ভোট ভাগ হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা। অবশ্য প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার প্রসঙ্গ সম্পূর্ণ বাতিল করছেন বিজেপি প্রার্থী। তাঁর বক্তব্য, তিনি এই কেন্দ্রে দিন-রাত এক করে সততার সঙ্গে কাজ করেছেন। সেই কাজের উপর ভিত্তি করে তিনি ফের ভোট চাইছেন। পাশাপাশি, জাতীয় নিরাপত্তার মতো বিষয় মাথায় রেখে ভোট দেবেন সাধারণ মানুষ। মীনাক্ষী লেখির প্রতিশ্রুতি, এবারে ভোটে জিতলে তাঁর প্রথম কাজ হবে স্বচ্ছ ভারত অভিযানকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। বাড়ি-বাড়ি জঞ্জাল সাফাই থেকে শৌচাগার নির্মাণের মতো কাজকে প্রাথমিকভাবে গুরুত্ব দেবেন তিনি। যুবকদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করার মতো কর্মসূচি নেবেন। স্নাতক হওয়া সত্ত্বেও এখনও বহু যুবক বেকার। তাঁদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা অত্যন্ত প্রয়োজন। এছাড়া, তাঁর কেন্দ্রে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করতে চান তিনি। অনেকেই তাঁর কাছে কলড্রপ বা খারাপ নেটওয়ার্কের অভিযোগ জানান। ভোটে জিতে বিষয়গুলির সমাধান করতে চান বিজেপি প্রার্থী। মীনাক্ষীর এই সব প্রতিশ্রুতির পাল্টা কংগ্রেস এবং আপের প্রশ্ন, পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার পরও কেন কাজ হল না? ব্যাঙ্কে ১৫ লক্ষ টাকা ফেরানো থেকে বছরে দু’কোটি বেকারের চাকরির মতো প্রতিশ্রুতি কেন পূরণ হল না? প্রশ্ন বিরোধীদের। প্রচারে এই প্রশ্নগুলি বারবার ছুঁড়ে দিচ্ছেন কংগ্রেস এবং আপ প্রার্থীরা। যদিও বিরোধীদের কাছেও অস্বস্তি আছে। জোট হলে ফলাফল অন্যরকম হতে পারত। কিন্তু এখন বিরোধী ভোট ভাগ হলে আখেরে লাভ হবে বিজেপির। জোট নিয়ে আপ আগ্রহী হলেও দিল্লির কংগ্রেস নেতৃত্ব প্রথম থেকেই অনাগ্রহী। শীলা দীক্ষিতের মতো কংগ্রেস নেতৃত্বের ধারণা, আপের সঙ্গে জোট বাঁধলে আগামীদিনে দিল্লিতে অস্তিত্ব হারাবে জাতীয় দল। লাভ হবে আপের।