ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ
মঙ্গলবার আনন্দপ্রাণার মরদেহ রাখা ছিল মঠের ডিসপেনসারি ভবনে। তীব্র দাবদাহ উপেক্ষা করে বহু ভক্ত তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসেন। বেলা তিনটের পর মন্ত্রোচ্চারণের মধ্যে দিয়ে তাঁর দেহ নিয়ে আসা হয় অধ্যক্ষ ভবনে। সেখানেও বহু মানুষ সন্ধ্যা পর্যন্ত শ্রদ্ধা জানান। মঠে এসে শেষ শ্রদ্ধা জানান রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সহ অধ্যক্ষ স্বামী ভজনানন্দ সহ বহু প্রবীণ সন্ন্যাসী। সন্ধ্যায় কাশীপুর রামকৃষ্ণ মহাশ্মশানে তাঁর অন্তিম সংস্কার হয়।
১৯২৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন আনন্দপ্রাণা মাতাজি। ছোটবেলা কেটেছে ভাগলপুরে। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সপ্তম অধ্যক্ষ স্বামী শঙ্করানন্দ মহারাজের থেকে তিনি মন্ত্র দীক্ষা লাভ করেন। ১৯৫৭ সালে দর্শন শাস্ত্রে স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ হয়ে শ্রীসারদা মঠে যোগদান করেন। প্রব্রাজিকা ভারতীপ্রাণা মাতাজির থেকে তিনি ১৯৬২ সালে ব্রহ্মচর্য ও ১৯৬৭ সালে সন্ন্যাসদীক্ষা লাভ করেন। সারদা মঠের ‘রামকৃষ্ণ সারদা মিশন নিবেদিতা বিদ্যাপীঠ’-এর শুরু থেকেই দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। শ্রী সারদা মঠের মুখপত্র ‘নিবোধত’ পত্রিকার পথ চলা শুরু হয় ১৯৭৮ সালে। তখন থেকে তিনি ওই পত্রিকা সম্পাদনার কাজে সাহায্য করতে শুরু করেন। ২০১৭ সালে শ্রী সারদা মঠের অছি পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন এবং দীক্ষাদান শুরু করেন। পরের বছর শ্রী সারদা মঠের সহ-অধ্যক্ষা হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৪ জানুয়ারি স্বামী বিবেকানন্দের শুভ জন্মতিথিতে ২০২৩ সালে তাঁকে শ্রী সারদা মঠের পঞ্চম অধ্যক্ষা হিসাবে দায়িত্বভার তুলে দেওয়া হয়। শিক্ষিকা হিসেবে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন মাতাজি। খেলাধুলো, বাগান করার মতো বিষয়ে উৎসাহ দিতেন তিনি। তাঁর আন্তরিক সাহায্য পেয়ে বহু দরিদ্র পড়ুয়া উচ্চশিক্ষিত ও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।