সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
গ্রামের বাসিন্দা আলিজার রহমানের কথায়, কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার কারণে গ্রামের নাম দেশের মানুষের মুখে উঠে আসুক— এটা একেবারেই চান না তাঁরা। সেদিনের ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন মনিরুজ্জামান মিঁয়া। তাঁর ভাই পিঙ্কু রহমানের কথায়, দাদা ভোট দিতে এসেছিল। সেদিন কী যে হয়ে গেল, এখনও ভাবলে আঁতকে উঠতে হয়। তবে কোনওভাবেই ভোটের দিন এরকম ঘটনা কাম্য নয়, বলছেন গ্রামবাসীরা। তাই ভোটের দিনের নিরাপত্তা সর্বাধিক আটসাঁট করা হোক, এটাই চান নিহতদের পরিবারের সদস্যরা। পাশাপাশি সেদিন যা ঘটেছিল, তার সঠিক তদন্ত হোক এবং পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়িয়ে সরকার আরও একটু সাহায্য করুক, বলছেন নিহতের ভাই। ওই চার জনের মৃত্যু শুধু নয়, ২০২১ সালের সেদিন শীতলকুচির ভোর হয়েছিল পাঠানটুলি গ্রামের আনন্দ বর্মনের মৃত্যুর খবরকে কেন্দ্র করে। বাংলাদেশ সীমান্তের একেবারে পাশ ঘেঁষা বাড়িতে বসে কাঁদতে কাঁদতে তাঁর দাদু মনোরঞ্জন বর্মন বলছিলেন, একজন অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হয়। বাকিরা এখনও গ্রেপ্তার হয়নি। ফলে সেদিনের পর থেকে এখনও পর্যন্ত বাড়িতে থাকতে পারছেন না কোনও আত্মীয়ই। এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে ঘুরে ঘুরে দিন কাটছে গোটা বর্মন পরিবারের। মনোরঞ্জনবাবুর একটাই দাবি, সব দলই এসে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু, আজ পর্যন্ত কেউ এক টুকরো শহিদ বেদি করতে সহযোগিতা করল না।
তবে শুধু শীতলকুচি নয়। গোটা কোচবিহারের মানুষই চাইছেন, শান্তিপূর্ণ ভোট হোক জেলায়। উল্লেখ্য, সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনও কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালানোর ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকদের সতর্ক থাকতে বলেছে। কোচবিহারের অপর প্রাপ্ত দিনহাটার কারজি পরিবারও বলছেন, শান্তিপূর্ণ ভোট হোক। রক্তপাত চাই না। গত বছর পঞ্চায়েত ভোটে এখানকার প্রথম খণ্ডভাগ্নে গ্রামে ভোট-সংঘর্ষে প্রাণ হারাতে হয় চিরঞ্জিৎ কারজিকে। এবারের লোকসভা ভোটের কাছে বাড়ির উঠোনে বসে তাঁর বাবা নীরেন কারজি এবং মা দুলালি কারজি বলেন, আর ভোট দিতে যাব না। সেদিন ছেলে ফোন করে নিজেই জানিয়েছিল গুলি লেগেছে। তাও পুলিস কেন এল না? ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাই। তবেই শান্তিপূর্ণ ভোট হবে বলে তাঁরা আশাবাদী।