সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, ঝিমিয়ে পড়া কর্মীদের চাঙ্গা করতেই দিলীপবাবু এই কৌশল নিয়েছেন। প্রচারে নেমে সাংগঠনিক দুর্বলতা চাক্ষুষ করেছেন। প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে দেওয়াল লিখন বা দলের ঝান্ডা না দেখতে পাওয়ায় তিনি জেলা নেতৃত্বকে তোপ দাগেন। বৈঠকে বুথের চিত্র দেখেও উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন। দ্বন্দ্বের কারণে বহু নেতা-কর্মী এখনও প্রচারে নামেননি। অনেকেই ঝিমিয়ে রয়েছেন। এসব কারণে দিলীপবাবু ময়দানে অন্য স্টাইলে খেলছেন বলে অনেকের দাবি।
ত্রিশূল হাতে নিয়ে এদিন বিজেপি প্রার্থী বলেন, বছরের প্রথম দিনে বর্ধমানেশ্বর মন্দিরে পুজো দিয়েছি। সেখান থেকেই ত্রিশূল লাভ হল। এই বিশ্বে যখন পাপ বেড়েছে তখন মহাদেব ত্রিশূল হাতে তুলে নিয়েছিলেন। তাণ্ডব নৃত্য করেছেন। তাঁর প্রেরণায় ত্রিশূল নিয়ে অভিযান করে স্বচ্ছ ভারত ও স্বচ্ছ রাজনীতি করতে চাই। ত্রিশূল তারই প্রতীক। তা হাতে নিয়ে দেশরক্ষাও হয়ে যাবে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, উনি সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছেন। সেকারণে ত্রিশূল হাতে তাণ্ডব করার কথা বলছেন। তবে এখানে তিনি কিছু করতে পারবেন না। ভোটে হেরে যাওয়ার পর বিজেপিতে তাণ্ডব করতে পারেন। বছরের প্রথম দিন দিলীপবাবু একাধিক মন্দিরে গিয়ে জনসংযোগ সারেন। তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ পশ্চিম বর্ধমানে কর্মসূচিতে যোগ দেন। প্রচারে নেমে দু’জন দু’জনকেই প্রতিদিন তোপ দাগছেন। তাঁদের বাগযুদ্ধে এই কেন্দ্রের রাজনৈতিক ময়দান জমজমাট হয়ে উঠেছে।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, একাধিকবার বিতর্কে জড়িয়ে দিলীপবাবু দলের অস্বস্তিও বাড়িয়েছেন। দোলের দিন তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণ করেন। শাসকদল সেটিকে হাতিয়ার করে তোপ দাগতে শুরু করে। চাপে পড়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাঁকে শোকজ করে। তারপরও তাঁকে দমানো যায়নি। উল্টে শোকজের চিঠি কীভাবে সংবাদ মাধ্যমের কাছে পৌঁছেছিল তা নিয়ে দিলীপবাবুর শিবির পাল্টা নেতৃত্বের উপর চাপ সৃষ্টি করে। দল তাঁকে সতর্ক করলেও তিনি মুখে কলুপ আঁটেননি। প্রতিদিনই শাসকদলের নেতাদের তুলোধোনা করছেন। এখন শুধু মন্তব্য করে থেমে থাকছেন না, ত্রিশূল হাতে ময়দানে নেমে স্বচ্ছ রাজনীতি ও স্বচ্ছ ভারত গড়ার কথা বলে যেন অন্য ইঙ্গিত দিতে চাইছেন।