ব্যবসার গতি ও বেচাকেনার সঙ্গে লাভও বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। শত্রু সংখ্যা বাড়বে। ... বিশদ
আজ, সোমবার তমলুক ও হলদিয়ায় নির্বাচনী প্রচারে যাওয়ার কথা অভিষেকের। তার জন্য বেহালা ফ্লাইং ক্লাবে প্রস্তুত রাখা হয়েছিল কপ্টার। সেখানেই এদিন তল্লাশি চালান আয়কর দপ্তরের অফিসাররা। তৃণমূলের অভিযোগ, তল্লাশির সময় অভিষেকের নিরাপত্তারক্ষীদের বাধা দেওয়া হয়। সবক’টি ব্যাগ খুলে দেখা হয়। নিরাপত্তারক্ষীরা এসবের কারণ জানতে চাইলে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন আয়কর কর্তারা। অভিযোগ, কপ্টারটি আটক করার হুমকি দেন তাঁরা। অভিষেকের নিরাপত্তারক্ষীরা তল্লাশির ভিডিও করতে গেলে বাধা দেওয়া হয়। এমনকী, রেকর্ড করা ভিডিওগুলি ডিলিট করতে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ।
এই ঘটনায় এক্স হ্যান্ডেলে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন অভিষেক। তিনি লেখেন, ‘এনআইএ’র ডিজি ও এসপিকে সরানোর নামগন্ধ নেই। অথচ বিজেপি ও ইলেকশন কমিশন আয়কর দপ্তরের কিছু চাটুকারকে আমার চপার এবং নিরাপত্তারক্ষীদের সার্চ করার জন্য পাঠিয়েছে। তারা সেখানে কিছুই পায়নি। জমিদাররা তাদের সব ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে। কিন্তু বাংলায় প্রতিরোধের ধারা ফিকে হবে না।’ এরপর একের পর এক তৃণমূল নেতা সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ উগরে দেন। সাকেত গোখলে এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘ভোটের আর পাঁচ দিন বাকি। সেখানে একজন প্রার্থীর প্রচার আটকাতে নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহ নির্লজ্জভাবে আয়করকে কাজে লাগাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। নির্বাচন কমিশনও চিরাচরিত রীতি মেনে সেই ব্যক্তিদেরই সেবা করে চলেছে, যাঁরা তাঁদের হাত ধরে নিযুক্ত করেছেন। তাই অন্ধ হয়ে আছে কমিশন।’ তৃণমূল এমপি ডেরেক ও’ ব্রায়েনের কটাক্ষ, ‘যারা মরিয়া হয়ে উঠেছে, তারা কপ্টারে কি ফলমূল আর মাছের স্যান্ডউইচ খুঁজে পেল?’
তল্লাশির বিষয়ে আয়কর দপ্তর সরকারিভাবে কিছু না বললেও সেখানকার কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভোটের সময় নগদ টাকার অবৈধ লেনদেন হচ্ছে কি না, সেটা খতিয়ে দেখাই তাদের কাজ। সেই ‘রুটিন কাজ’ই করতে গিয়েছিল দপ্তর। সেখানে সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি বলেও জানাচ্ছেন তাঁরা। রাজ্য বিজেপির মুখ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের বক্তব্য, ‘নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মতো এমন তল্লাশি সব রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। বিজেপি প্রতিহিংসার রাজনীতি করলে তৃণমূল এতদিন ক্ষমতায় থাকতে পারত না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও জেলের বাইরে থাকতেন না।’