সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
বিএসএফ জানিয়েছে, বাগদার মুস্তাফাপুর সীমান্তের গাঙ্গুলিয়া গ্রামে থাকতেন মা ফতিমা বিশ্বাস। বুধবার রাতে ভারতে তাঁর মৃত্যু। ও পারে বাংলাদেশে বিয়ে হয়েছে তাঁর মেয়ে মর্জিনা বিশ্বাসের। বাংলাদেশে আরও আত্মীয় পরিজনও রয়েছে তাঁদের। মায়ের মৃত্যুর খবর শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন মর্জিনা। একবার শেষ দেখা দেখতে চান। কিন্তু, ভিসা করিয়ে ভারতে ঢুকতে দীর্ঘ সময় লাগবে। তাই স্থানীয় এক পঞ্চায়েত সদস্যের মাধ্যমে মুস্তাফাপুর বর্ডার আউট পোস্টের (বিওপি) কমান্ডারকে জানানো হয় পুরো বিষয়টি। কমান্ডার শোনার পর দেখা করানোর আশ্বাস দেন। সীমান্তের ওপারে বিজিবি অর্থাৎ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিএসএফ যোগাযোগ করে। অনুরোধে সাড়া দেয় বিজিবিও।
তারপরই বিএসএফ ফতিমা বিশ্বাসের মৃতদেহ মুস্তাফাপুর সীমান্তের জিরো পয়েন্টে নিয়ে আসতে বলে। বিজিবির নিরাপত্তায় তাঁর মেয়ে এবং আত্মীয়রা বাংলাদেশ থেকে জিরো পয়েন্টে আসেন। সেখানে বিএসএফ জওয়ানরাও হাজির ছিলেন। শেষবারের মতো ও মাকে দেখতে পাওয়ায় বিএসএফকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মর্জিনা বিশ্বাস। বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের জনসংযোগ আধিকারিক তথা ডিআইজি এ কে আর্য বলেন, বিএসএফ জওয়ানরা কেবলমাত্র দেশের নিরাপত্তাই নিশ্চিত করে না, সীমান্তের বাসিন্দাদের মানসিক ও সামাজিক কল্যাণের কথাও চিন্তা করে। এই ঘটনা তারই এক উদাহরণ।