পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনকে কেন্দ্র করে জ্ঞাতি বিরোধের আশঙ্কা। কর্মে সংযোগের অভাব। ... বিশদ
‘শ্রদ্ধেয়’, ‘আশা করি ভালো আছেন’, ‘ধন্যবাদান্তে’ এবং ‘বিনীত নিবেদক’এর মতো যে শব্দবন্ধনী রয়েছে চিঠিতে, তাতে ‘চিঠির উৎসস্থল’ নিয়ে বিস্তর প্রশ্নও উঠেছে। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলায় যদি এনআরসি লাগু হয় এবং তাতে যদি মুসলমানদের উপর কোনও অত্যাচার হয় , তাহলে গোটা দেশে আগুন জ্বলার সঙ্গেই ঠাকুরবাড়িও উড়িয়ে দেওয়া হবে। ইংরেজিতে টাইপ করা রয়েছে চিঠি লেখার দিন, চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি। স্পিডপোস্টে চিঠিটি ছাড়া হয়েছে প্রায় দু’মাস পরে গত ৫ এপ্রিল। এই ‘হুমকি’ চিঠির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং পুলিসকে ই-মেল করে জানিয়েছেন শান্তনু ঠাকুর। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা মতুয়া সঙ্গে শান্তনুবাবুর ‘প্রতিপক্ষ’ মমতাবালা ঠাকুরের কথায়, ‘সবটাই সাজানো ও পরিকল্পনামাফিক। ঠাকুরবাড়িতে দাদাগিরি করে এখন কোণঠাসা অবস্থা শান্তনু ঠাকুরের। ড্যামেজ কন্ট্রোলে তিনি লোক দিয়ে চিঠি পর্ব সাজিয়েছেন।’ তবে ভাইরাল এই চিঠি নিয়ে মতুয়া সম্প্রদায়ের অভ্যন্তরেই গুঞ্জন—‘এত বিনয়ী হয়ে হুমকি দেওয়ার মানে, ঠাকুরবাড়ি উড়িয়ে দেওয়ার আগে ‘অনুমতি’ চেয়েও চিঠি পাঠাতে পারে ‘স্বঘোষিত’ লস্কর জঙ্গিরা।’
রবিবার রাতের ঘটনার পর ঠাকুরবাড়ি দখল নিয়ে ভোটের আবহে রাজনৈতিক পারদ ক্রমশ চড়ছে বনগাঁর রাজনীতিতে। ইতিমধ্যেই শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে জোর করে ‘বড় মা’র ঘর দখলের অভিযোগ এনে পুলিসের দ্বারস্থ হয়েছেন মমতাবালা ঠাকুর। সে ঘরে জুতো পরে হাঁটাচলা করছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা, ভাইরাল হয়েছে সে ছবিও। সম্প্রদায়ের অন্যতম পুণ্যপর্ব ‘বারুণী মেলা’ চলাকালীন এ ঘটনায় মাথা হেঁট হয়েছে মতুয়া ভক্তদের। শান্তনু ঠাকুরের এই কীর্তি নিয়ে যখন সমালোচনার তুমুল ঝড় বইছে, ঠিক তখনই জঙ্গি সংগঠনের নামে পাঠানো লেখার দু’মাস পরে পাঠানো হুমকি চিঠি নিয়ে ‘সন্দিহান’ সব মহল। এ প্রসঙ্গে শান্তনুবাবু বলেন, ‘চিঠির তারিখ নিয়ে আমার কী বলার থাকবে। যারা এই চিঠি দিয়েছে, তারাই বলতে পারবে। এ নিয়ে আমার কোনও মন্তব্য নেই। তবে সমস্ত বিষয়টি নিয়ে আমি মেল করে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী, পুলিস সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ জানিয়েছি।