পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনকে কেন্দ্র করে জ্ঞাতি বিরোধের আশঙ্কা। কর্মে সংযোগের অভাব। ... বিশদ
রাজ্যে পা রেখেই জেলাগুলির কাছ থেকে গত পঞ্চায়েত ভোটের হিংসার খতিয়ান তলব করেন বিশেষ পর্যবেক্ষক। সেই তথ্য পাওয়ার পরই প্রথম দফায় সব বুথকে স্পর্শকাতর ধরে নির্বাচন করাতে চাইছে কমিশন। আর সেই কারণেই প্রতিকূলতা সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গে প্রথম দফায় তিনটি আসনে ভোটের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে আরও বাহিনী চেয়ে পাঠিয়েছে কমিশন।
সূত্রের খবর, বিশেষ পর্যবেক্ষকের কাছে যে রিপোর্ট জমা পড়েছে তাতে গতবছর পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের পরও কোচবিহারে পোলিং এজেন্ট হত্যার ঘটনার উল্লেখ রয়েছে। এছাড়া সামনে এসেছে শীতলকুচির সিতাইয়ে ব্যালট বাক্স পুড়িয়ে দেওয়ারও তথ্য। পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে রুজু হওয়া মামলাগুলির যাবতীয় তথ্যও খতিয়ে দেখেছে কমিশন। পঞ্চায়েত ভোট ছাড়াও, গত বিধানসভার চতুর্থ দফা ভোটের দিন (১০ এপ্রিল, ২০২১) শীতলকুচির জোড়পাটকির ১২৬ নম্বর বুথে অবাঞ্ছিত ঘটনার কথাও বারবার চর্চায় এসেছে।
সাম্প্রতিক ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর থেকেও তেতে রয়েছে কোচবিহার। কেন্দ্র ও রাজ্যের দুই মন্ত্রীর বিতণ্ডা ঘিরেই পরিস্থিতি থমথমে। এসব তথ্য বিবেচনা করে শেষ পর্যন্ত ১০০ শতাংশ বুথকে স্পর্শকাতর ধরেই নির্বাচনে এগতে চাইছে কমিশন।
অন্যদিকে, ১৫ এপ্রিলের আগেই রাজ্যে আসছে আরও ১০০ কোম্পানি আধাসেনা। এই বাহিনীর মধ্যে ৫৫ কোম্পানি সিআরপিএফ (২৫ কোম্পানি মণিপুর এলও-সহ) এবং বাকি ৪৫ কোম্পানি বিএসএফ (২৫ কোম্পানি মণিপুর এলও-সহ)। এই বাহিনী আসার ফলে রাজ্যে আধাসেনা মোতায়েন দাঁড়াবে ২৭৭ কোম্পানি। এর মধ্যে ভোটের আগেই আসতে পারে আরও ৭০ কোম্পানি। এই সংখ্যক বাহিনী পাওয়া গেলে সব বুথেই আধাসেনা রেখে ভোট করা যাবে বলে আশাবাদী কমিশন।