সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
প্রথম দফায় কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারের ভোটে বাহিনী মোতায়েন করার পরিকল্পনা করতে শনিবার এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেছিল কমিশন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের নিযুক্ত বিশেষ পর্যবেক্ষক, বিশেষ পুলিস পর্যবেক্ষক, মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক, রাজ্য পুলিসের নোডাল অফিসার এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর কো অর্ডিনেটর। বর্তমানে রাজ্যে বিভিন্ন জেলায় মোতায়েন রয়েছে ১৭৭ কোম্পানি আধাসেনা। এর মধ্যে ১৬০ কোম্পানিকে প্রথম দফায় ভোটের কাজে ব্যবহার করার কথা ছিল। প্রথম দফায় যে তিন জেলার ভোট হচ্ছে, এদিন সেখানকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ হয়। তারপরই ঠিক হয়, প্রথম দফায় প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী (এক্ষেত্রে ভিন রাজ্যের বাহিনীকেও কেন্দ্রীয় বাহিনী হিসাবে গণ্য করছে কমিশন) মোতায়েন রেখে ভোট হবে। এদিন বৈঠক থেকেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সঙ্গে ফোনে কথা হয় কমিশন কর্তাদের। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলার পরই বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে, তেলেঙ্গানা, গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে পুলিস বাহিনী আনা হবে।
সূত্রের খবর, ১৫ এপ্রিলের আগেই রাজ্যে আসবে ১০০ কোম্পানি ভিন রাজ্যের বাহিনী, এর মধ্যে থাকতে পারে আধাসেনাও। তারপর ভোটের মুখে আরও ৭০ কোম্পানি বাহিনীও আসার কথা রয়েছে। এই বাহিনী দিয়েই সব বুথের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে বলে খবর। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিনের বৈঠকে দীর্ঘক্ষণ ধরে ভুপতিনগরের ঘটনা নিয়ে আলোচনা হয় সবপক্ষের মধ্যে। বৈঠকে উপস্থিত সকলেই বাহিনী মোতায়েনের ক্ষেত্রে কোনওরকম ঝুঁকি না নেওয়ার পক্ষেই সম্মতি জ্ঞাপন করেন। তারপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আধাসেনা ও ভিন রাজ্যের বাহিনী দিয়ে প্রথম দফার ভোট নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। এখনও পর্যন্ত যা সিদ্ধান্ত হয়েছে, তাতে তিন দফায় শুধুমাত্র স্পর্শকাতর বুথগুলিতেই মোতায়েন থাকবে আধাসেনা। স্পর্শকাতর হিসাবে চিহ্নিত নয়, এমন বুথগুলির নিরাপত্তায় থাকবে ভিন রাজ্যের পুলিস। উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গ থেকেও বিভিন্ন রাজ্যের ভোট নিরাপত্তায় ১৫ কোম্পানি বাহিনী পাঠানো হয়েছে।