সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
এবার লোকসভা ভোটে বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূলের মূল হাতিয়ার কেন্দ্রীয় বঞ্চনা। ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা, গ্রাম সড়ক যোজনা সহ একাধিক প্রকল্পে মোট ১ লক্ষ ৬০ হাজার কোটি টাকার উপর কেন্দ্র বকেয়া ফেলে রেখেছে। বারবার আবেদনের পরও ন্যায্য প্রাপ্য রাজ্যকে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ তৃণমূলের। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় বঞ্চনা ইস্যুতে প্রতিদিনই সুর চড়াচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের সেনাপতি অভিষেক। শনিবার পঞ্চায়েত প্রধান এবং উপপ্রধানদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন অভিষেক। সেখানেই পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান এবং অন্যান্য সদস্যকে গ্রামের প্রত্যেকটি মানুষের কাছে যাওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। ঠিক হয়েছে, তৃণমূলের তরফে একটি ফর্ম গ্রামের প্রত্যেক মানুষের কাছে পৌঁছে দেবেন পঞ্চায়েতের সদস্যরা। সেখানে উল্লেখ থাকবে, কেন্দ্র টাকা না দিলে রাজ্য সরকার আবাসের প্রথম কিস্তির টাকা ডিসেম্বর মাসের মধ্যে অ্যাকাউন্টে পৌঁছে দেবে।
একই সঙ্গে কেন্দ্র বরাদ্দ না দিলেও ১০০ দিনের কাজের টাকা বাংলার ৫৯ লক্ষ মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এই বিষয়টিও সাধারণ মানুষকে জানানোর পরামর্শ দিয়েছেন অভিষেক। চলতি মাস থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে ভাতাবৃদ্ধি করেছে রাজ্য সরকার। মহিলাদের অ্যাকাউন্টে সেই টাকা পৌঁছে গিয়েছে। সেই কথাও প্রচারে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তাঁর আরও নির্দেশ, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে কেউ যদি টাকা না পেয়ে থাকেন, তার সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিগের ঘরে বসে না থেকে মাঠে-ময়দানে নেমে ঘাম ঝরানোর পরামর্শ দিয়েছেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। সেই সঙ্গে মহিলাদের ছোট ছোট দল গঠন করে বাড়ি বাড়ি যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পঞ্চায়েত স্তরে রাজ্য সরকার যে যে উন্নয়নমূলক কাজ করেছে, তাও সবিস্তারে তুলে ধরা হবে প্রচারে।