সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
সেই রেশ এখনও চলছে বলে মত দলের ওই নেতার। তিনিই পার্টির হয়ে দিল্লি কেন্দ্রীয় অফিসের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন। তাঁর কথায়, মার্চের গোড়ায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বঙ্গ সফর চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। সেই মতো জেলাগুলিতে প্রস্তুতি বৈঠক শুরু করে দিয়েছিল স্থানীয় নেতৃত্ব। কিন্তু আচমকাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে অমিত শাহের নির্ধারিত সফর বাতিল করা হয়। বদলে ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতেই প্রধানমন্ত্রীর বিমান দমদমে অবতরণ করে। ভোট ঘোষণার আগেই পর পর সভা সেরে ফেলেন তিনি। আজ, রবিবারও জলপাইগুড়িতে দলীয় প্রার্থী জয়ন্ত রায়ের সমর্থনে জনসভা করবেন তিনি। বঙ্গ বিজেপির অন্দরমহলে প্রশ্ন উঠছে, তবে কি অমিত শাহকে বাদ রেখেই ভোটের কৌশল সাজাচ্ছেন মোদি? পশ্চিমবঙ্গকে সামনে রেখে এই অস্বস্তিকর বিষয় আলোচনায় এলেও ভোট পরবর্তী সময়ে ক্ষমতার ভরকেন্দ্র কার হাতে থাকবে, সেটাই মূল আলোচ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, ৭৪ বছর বয়সি নরেন্দ্র মোদি আর কতদিন দেশের প্রশাসনিক প্রধান থাকবেন, সেই প্রশ্নও ঘুরপাক খাচ্ছে। সর্বভারতীয় পর্যায়ে ৭৫ বছরের পর গেরুয়া নেতাদের ‘বানপ্রস্থে’ পাঠানোর রেওয়াজ ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে। সেই সূত্রেই লালকৃষ্ণ আদবানি, মুরলী মনোহর যোশির মতো নেতারা বর্তমানে পার্টি থেকে অনেক দূরে। অন্যদিকে, ২০২৫ সালে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) শতবর্ষ পূরণ হচ্ছে। আবার আগামী বছরই প্রধানমন্ত্রী ৭৫ পূর্ণ করবেন। সেক্ষেত্রে সঙ্ঘের প্রাক্তন প্রচারক মোদি তারপর কোন পথে হাঁটবেন, সেটাই এখন চর্চার বিষয়ে গেরুয়া অক্ষে। স্বভাবতই পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে এগিয়ে থাকা অমিত শাহকে খানিক ব্যাকফুটে রাখতেই কি নরেন্দ্র মোদির এই কৌশল, উঠছে সেই প্রশ্ন।