সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
সামুদ্রিক প্যারট, স্ন্যাপার, গ্রুপার এবং এইটব্যান্ড বাটারফ্লাই ফিশ মিলেছে নদীতে। এগুলির কোনওটিকেই সুন্দরবনের নদীতে এর আগে পাওয়া যায়নি। মাছগুলির বিচরণ ক্ষেত্র গভীর সমুদ্র। সেখানকার জল লবণাক্ত। প্যারট ফিশকে সাধারণত সমুদ্রের প্রবাল প্রাচীরের কাছে পাওয়া যায়। গ্রুপার ফিশের দেখা মেলে মেক্সিকো, আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের কাছাকাছি। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডের সাগরে স্ন্যাপার মাছ বেশি দেখা যায়। এইটব্যান্ড বাটারফ্লাই ফিশ হল ইন্দো প্যাসিফিক মহাসাগরের। তারা হঠাৎ করে চলে এল সুন্দরবনের নদীতে! বিষয়টি বাস্তবিকই ভাবিয়ে তুলেছে মৎস বিজ্ঞানীদের।
জেডএসআই’য়ের সুন্দরবন আঞ্চলিক অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক জেএস যোগেশ কুমার বলেন, ‘জলে নুনের মাত্রায় নিশ্চই কোনও বদল এসেছে। সে কারণে ভাসতে ভাসতে এখানে থাকতে শুরু করেছে মাছগুলি। না হলে ম্যানগ্রোভ এলাকায় এদের পাওয়া একপ্রকার অসম্ভব।’ তিনি জানান, এই ঘটনা জানার পর সুন্দবনের নদীগুলির জলে লবণাক্ততার তারতম্য হয়েছে কি না বা এই মাছগুলি অন্য পরিবেশে নিজেদের মানিয়ে নিতে শুরু করে দিয়েছে কি না তা জানতে পরীক্ষানিরীক্ষা শুরু হয়েছে। বিজ্ঞানী প্রভাকর রাই সেই কাজ করছেন। কয়েক লক্ষ মাইল দূরের বাসিন্দারা সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ জঙ্গলের নদীতে চলে আসার কারণ জানতে বিস্তর কাটাছেঁড়া চলছে। আধিকারিকদের বক্তব্য, মাছগুলি কাকদ্বীপ বা ওই অঞ্চলে পাওয়া গেলে মনে করা যেত, সেগুলি সমুদ্র থেকে কোনওভাবে চলে এসেছে। কিন্তু সেরকম হয়নি। তাই বিষয়টি অভিনব মাত্রা পেয়েছে। ফলে সবকিছু খতিয়ে এবং অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে গোটা বিষয়টি দেখা হচ্ছে।