ধর্মকর্মে সক্রিয় অংশগ্রহণে মানসিক তৃপ্তি ও সামাজিক সুনাম। পেশাদার শিল্পীদের শুভ সময়। ... বিশদ
আজ লোকসভা ভোটের আগে সেমি-ফাইনালে চার রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশ হতে চলেছে। কাল, সোমবার ভোট গণনা মিজোরামে। এই ফল যেমন গোটা দেশে প্রভাব ফেলবে, তেমনই নির্ণায়ক হতে চলেছে বাংলার ক্ষেত্রেও। তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ তথ্য বলছে, ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন বিজেপির সাংসদ, বিধায়ক নিত্য তাঁদের যোগাযোগে রয়েছেন। ঘটনাচক্রে গত ২৩ নভেম্বর নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলের বিশেষ অধিবেশন মঞ্চ থেকে ভালো মানুষদের দলে শামিল করে নেওয়ার ‘সবুজ সঙ্কেত’ দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকেই বিস্তর চর্চা শুরু। তাহলে কি ফের তৃণমূলে যোগদান পর্ব শুরু হচ্ছে? মূলত, চর্চায় বিজেপির সেই জনপ্রতিনিধিরাই, যাঁরা মনে করছেন, দল কোনওভাবেই জেতার মতো জায়গায় নেই।
গেরুয়া শিবিরের নিজেদের মূল্যায়ন, ‘স্বঘোষিত গড়’ উত্তরবঙ্গেও তাদের আসন এখন আর ‘সেফ সিট’ নয়। মূলত চা-বাগান অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে প্রতিশ্রুতি দিয়েও কেন্দ্রীয় সরকার বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে বলে মনে করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যেখানে চা বাগানগুলিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের শিশু ক্রেশ, বিনামূল্যে রেশন, আর্থিক ভাতা এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্র ম্যাজিকের মতো কাজ করেছে। পঞ্চায়েত ভোট ও ধূপগুড়ির উপ নির্বাচনে তার ফল পেয়েছে জোড়াফুল। উত্তরবঙ্গের লোকসভা আসনগুলিতে তৃণমূল ‘উপযুক্ত’ প্রার্থী দিয়ে দেখেশুনে পা ফেললেই, জয়ের সার্টিফিকেট হাতে আসবে বলে দলের অভ্যন্তরীণ রিপোর্ট। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপির হাতে গিয়েছিল ১৮টি আসন। ইতিমধ্যে তাদের দু’জন সাংসদ তৃণমূলে শামিল হয়েছেন। এখন বিজেপির হাতে ১৬টি আসন। তৃণমূলের টার্গেট, মেদিনীপুর এবং বালুরঘাটে জয় ছিনিয়ে আনা। তৃণমূলের অভ্যন্তরে আলোচনা হয়েছে, মুর্শিদাবাদ, নদীয়ার দিকে আরেকটু বেশি বাড়তি নজর দেওয়ার। নদীয়া এবং উত্তর ২৪ পরগনার মতুয়া সম্প্রদায় অধ্যুষিত এলাকায় সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করতে গত নভেম্বরের শেষ থেকেই ঝাঁপিয়ে পড়েছে তৃণমূল। এখন পালা ঝাঁঝ আরও বৃদ্ধির।