বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
যদিও কংগ্রেস সেই অভিযোগ সরাসরি খারিজ করে পাল্টা নিশানা করেছে গেরুয়া দলকে। এর মধ্যেই তাৎপর্যপূর্ণভাবে তিস্তার গ্রেপ্তারি নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার শাখাও।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শনিবার অমিত শাহ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, গুজরাত হিংসা নিয়ে তৎকালীন রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছিল এক শ্রেণির মিডিয়া ও এনজিও। সর্বাগ্রে ছিল তিস্তা শীতলবাদের এনজিও। এর ঘণ্টাখানেক পরই গুজরাত পুলিসের সন্ত্রাস দমন শাখা হানা দেয় তিস্তার মুম্বইয়ের বাড়িতে। তারপরই আসরে নামে বিজেপি। তাদের তরফে সরাসরি অভিযোগ করা হয়, এই সমাজকর্মীকে মদত জুগিয়েছিল কংগ্রেস। এমনকী, কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধীকেও নিশানা করা হয়। বিজেপির সর্বভারতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র অভিযোগ করেন, ‘ গোটা অপপ্রচারের ঘটনায় তিস্তা শীতলবাদ মোটেও একা ছিলেন না। তাঁর নেপথ্যে চালিকাশক্তি কে ছিলেন? সোনিয়া গান্ধী ও তাঁর দল কংগ্রেস।’ তাঁর দাবি, মনমোহন সিং নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের তরফে তিস্তার এনজিও-কে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল। রবিবার এর পাল্টা জবাব দিয়েছেন কংগ্রেস মুখপাত্র অভিষেক মনু সিংভি। তিনি টুইটারে লিখেছেন, ‘বিজেপি মুখপাত্র অভিযোগ করেছেন, তিস্তা শীতলবাদের কাজকর্মের নেপথ্যে সোনিয়া গান্ধীর হাত রয়েছে। এই অভিযোগ একেবারেই মিথ্যে ও ভিত্তিহীন।’ কংগ্রেসের পাল্টা অভিযোগ, পুরো ঘটনায় জোর করে সোনিয়ার নাম জুড়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি। তারা আরও বলেছে, এ ধরনের অভিযোগ সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের অবমাননার সামিল। এদিকে, তিস্তা ইস্যু ভারতের সীমানা পেরিয়ে আছড়ে পড়েছে আন্তর্জাতিক মঞ্চেও। এই সমাজকর্মীকে গ্রেপ্তার করার নিন্দা করেছেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার শাখার আধিকারিক মেরি ললোর। তিনি স্পষ্ট বলেছেন, ‘মানবাধিকার রক্ষার কাজে এগিয়ে আসা কখনওই অপরাধ হতে পারে না।’ যে কোনও বৈষম্যের বিরুদ্ধে তিস্তা জোরালো আওয়াজ তুলতেন বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন।
এদিকে, তিস্তার গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে রবিবার কলকাতায় মিছিল করে বামপন্থী দলগুলি। পার্ক সার্কাস থেকে এন্টালি পর্যন্ত ওই মিছিলে অংশ নেন বিমান বসু, মহম্মদ সেলিম, মনোজ ভট্টাচার্য প্রমুখ। উল্লেখ্য, ২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গায় নরেন্দ্র মোদিকে ক্লিনচিট দিয়েছিল ‘সিট’ (স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম)। সেই ক্লিনচিটকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন গুলবার্গ সোসাইটিতে অগ্নিকাণ্ডে নিহত প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ এহসান জাফরির স্ত্রী জাকিয়া। এই মামলায় তাঁর সঙ্গে সহ-আবেদনকারী ছিলেন তিস্তা ও তাঁর এনজিও। কিন্তু গত শুক্রবার জাকিয়াদের আবেদন খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। এরপরই শনিবার সকালে ওই সাক্ষাৎকারে তিস্তার নাম করে কার্যত হুঁশিয়ারি দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ধৃত সমাজকর্মীকে রবিবার গুজরাত পুলিসের অপরাধ দমন শাখা মুম্বই থেকে আমেদাবাদে নিয়ে আসে। তদন্তকারী অফিসার জানিয়েছেন, তিস্তা শীতলবাদ ও তাঁর এনজিও ‘সিট’-এর কাছে যে তথ্যপ্রমাণ জমা দিয়েছিল, সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।