বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
তবে উত্তরবঙ্গ থেকে ট্রেনে উঠলেও, কন্যাকে নিয়ে পরেশবাবু কলকাতায় আসেননি । তাহলে দিনভর কোথায় ছিলেন মন্ত্রী? জানা গিয়েছে, ভোর ৪টে ৫২মিনিট নাগাদ আচমকা বর্ধমান স্টেশনে ৫নম্বর প্ল্যাটফর্মে নেমে পড়েন পরেশ। সঙ্গে মেয়েও ছিল। ৫টা ৫মিনিট নাগাদ তাদের স্টেশন থেকে বের হতে দেখা যায়। এরপর সাদা স্করপিও গাড়িতে তাঁরা কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় বলে জানা গিয়েছে। পথে গাংপুরের একটি ধাবায় বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়ায় তাঁদের গাড়ি। সেখানে খাওয়া-দাওয়াও করেন। তবে কী কারণে তিনি পদাতিক এক্সপ্রেস থেকে বর্ধমান স্টেশনে নেমেছিলেন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
আরও জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন থেকে মন্ত্রী ও তাঁর মেয়ে পদাতিক এক্সপ্রেস ট্রেনে ওঠেন। অভিযোগ, তাড়াহুড়োর কারণে টিকিটই কাটেননি মন্ত্রী। ট্রেনটি ৩টে বেজে ৫০মিনিটে বোলপুর স্টেশনে এসে পৌঁছয়। ওই ট্রেনে থাকা যাত্রীরা জিআরপিকে জানিয়েছেন, বোলপুর স্টেশন পার হওয়ার পরই ট্রেনের টিকিট পরীক্ষকের সঙ্গে মন্ত্রীর বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। টিটিকে জরিমানার রসিদ কাটতেও দেখা যায়। সূত্রের খবর, প্রায় সাত হাজার টাকা জরিমানা দিয়েছেন পরেশবাবু। তারপরই তিনি বর্ধমান স্টেশনে নেমে যান।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে মেখলিগঞ্জ ইন্দিরা হাইস্কুলে শিক্ষিকা হিসেবে যোগদান করেন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা। অভিযোগ ওঠে, স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক নিয়োগের তালিকায় প্রথমদিকে নামই ছিল না পরেশবাবুর মেয়ের। তখন পরেশবাবু ফরওয়ার্ড ব্লকে ছিলেন। এরপর পরেশবাবু তৃণমূলে যোগদান করেন। তারপরই রহস্যজনকভাবে তাঁর মেয়ের নাম শিক্ষক নিয়োগের ওয়েটিং লিস্টে এক নম্বরে চলে আসে বলে অভিযোগ। তা নিয়ে এক চাকরিপ্রার্থী মামলাও করেন। এনিয়ে দলের পক্ষ থেকে কেউ মন্তব্য করতে চায়নি। পরেশবাবুরও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। - ফাইল চিত্র