বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
জানা গিয়েছে, নভেম্বর থেকে শুরু হলেও ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত সরকারি উদ্যোগে এই ধান কেনার কাজ কিছুটা ধীরগতিতে চলেছিল। কিন্তু ডিসেম্বর মাসের শেষ পর্ব থেকে প্রচুর পরিমাণে ধান কেনা শুরু হওয়ায় ঘাটতি পূরণ সম্ভব হচ্ছে। খাদ্যদপ্তরের ধান কেনার সঙ্গে যুক্ত প্রবীণ আধিকারিকদের মতে, এবারের গতিপ্রকৃতি বুঝিয়ে দিচ্ছে প্রকৃত ছোট ও মাঝারি চাষিরা সরকারের কাছে ধান বিক্রি করছে। সরকারি কড়া নজরদারিতে ফড়েরা বিশেষ সুবিধা করে উঠতে পারছে না। খাদ্যদপ্তর ছাড়াও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহ নিগম সহ বেশ কয়েকটি সরকারি এজেন্সি ধান কিনছে। এসবের ফল মিলছে সব জায়গাতেই।
এই পরিস্থিতিতে খাদ্যদপ্তর চাইছে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে যতটা বেশি পরিমাণে ধান কিনে নিতে। এটা করা গেলে প্রকৃত চাষিদের কাছে সরকারি দরে ধান বিক্রি করার সুবিধা আরও বেশি করে পৌঁছে দেওয়া যাবে। নতুন আমন ধান ওঠার পর ছোট চাষিদের তা তাড়তাড়ি বিক্রি করার বেশি আগ্রহ থাকে। কারণ, তাদের টাকার দরকার থাকে পরবর্তী চাষ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় খরচ জোগানোর জন্য। সরকারের কাছে তারা ধান বিক্রি করতে না পারলে সুবিধা হয় ফড়েদের। চাষিদের কাছ থেকে তাঁরা অনেক কম দামে ধান কিনে নেওয়ার সুযোগ পায়। এবার ১৯৪০ টাকা (কেন্দ্রীয় ক্রয় কেন্দ্রে আরও ২০ টাকা বোনাস) কুইন্টাল দরে ধান কিনছে সরকার। খোলাবাজারে অবশ্য দাম প্রায় ৪০০ টাকা কম।
নতুন ওঠা আমন ধান সাধারণত মার্চ মাস পর্যন্ত বিক্রি হয়। এপ্রিল মাস থেকে বোরো ধান উঠতে শুরু করে। দপ্তরের প্রবীণ আধিকারিকদের মতে, বোরো ধান ওঠার পর সরকারি উদ্যোগে ধান কেনার সময় ফড়েদের বাড়তি তৎপরতা শুরু হয়ে যায়। বিশেষ করে ওই সময়ে এক শ্রেণির ধানকল মালিক ও কৃষি সমবায় সংস্থার মিলিত চক্র বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে। অতীতের অভিজ্ঞতা সেটাই। চাষিদের নামে ফড়েদের কাছ থেকে অল্প সময়ের মধ্যে বেশি পরিমাণে ধান কিনে নেওয়া হয়। এবার অবশ্য পরিস্থিতি আলাদা। ফড়েদের আটকাতে একগুচ্ছ বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তবে মার্চ মাস পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রার থেকে কিছুটা বেশি পরিমাণে ধান সরকার কিনে নিলে প্রান্তিক চাষিদের সুবিধা হবে বলে আধিকারিকদের অনেকেই মনে করছেন। কারণ, এপ্রিলে বোরো মরশুমে মূলত সরু দামি চালের ধান ওঠে। সরকার এই মানের ধান সাধারণত কেনে না। সরকারি উদ্যোগে মূলত মোটা স্বর্ণ ধান কেনা হয়। সেটা আমনের ফলন হিসেবেই বাজারে আসে। তবে বড় চাষি ছাড়া অন্যদের পক্ষে আমন ধান বেশি দিন ধরে রাখা তেমন সম্ভবও হয় না। এই পরিস্থিতির সুবিধা নেয় ফড়েরা। প্রসঙ্গত, ফেব্রুয়ারি মাসেও সরকারের জানুয়ারির মতো ১২ লক্ষ ২৫ হাজার টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা আছে। মার্চ মাসের লক্ষ্যমাত্রা ৯ লক্ষ ৮০ হাজার টন। এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত প্রতি মাসের লক্ষ্যমাত্রা ২ লক্ষ ৪৫ হাজার টন করে।