বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
বনবিভাগ ও এয়ারপোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘাস, ঝোপজঙ্গল পরিষ্কার করার জন্য এয়ারফোর্স কর্তৃপক্ষ কয়েকজন চুক্তিভিত্তিক শ্রমিককে কাজে নামায়। এলাকায় আটজন শ্রমিক কাজ করছিলেন। সকাল ১১টা নাগাদ একটি চিতাবাঘ গোবিন্দ সিংহ নামে এক শ্রমিকের উপর হামলা চালায়। তাঁর গলা, পিঠ ও কাঁধ গুরুতর জখম হয়। সহকর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে এয়ারফোর্স হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। গোবিন্দবাবু মেডিক্যালেই ভর্তি আছেন।
এদিকে চিতাবাঘের হামলার খবর পেয়ে বাগডোগরার রেঞ্জার সমীরণ রাজের নেতৃত্বে বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে যান। চিতাবাঘকে ধরতে ঘুমপাড়ানি বন্দুক, জাল, খাঁচা নিয়ে আসেন সুকনা ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াডের কর্মীরা। শুরু হয় অভিযান। সেসময় ঘাসের আড়ালে লুকিয়ে থাকা চিতাবাঘটি একবনকর্মীর উপরও হামলা চালায়। সমীর সোবার নামে ওই বনকর্মীকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যেতে থাকে। অন্য বনকর্মীদের চিৎকারে চিতাবাঘটি তাঁকে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। প্রাণে বেঁচে গেলেও সমীরবাবু গাল এবং থাইয়ে গুরুতর জখম হয়। তাঁকেও প্রথমে এয়ারফোর্স হাসপাতাল এবং পরে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বনবিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, আগেও বেশ কয়েকবার এয়ারফোর্স চত্বরে চিতাবাঘ ঢুকে পড়েছিল। বনকর্মীদের অনুমান, বাগান থেকে ওই চিতাবাঘ এয়ারফোর্স চত্বরে আসে। গোবিন্দবাবুর সহকর্মী ধীরেন সিংহ, হীরালাল পণ্ডিতরা বলেন, এয়ারফোর্স চত্বরের ওই এলাকায় আমরা আটজন ঘাস, ঝোপজঙ্গল পরিষ্কার করছিলাম। আচমকাই একটি চিতাবাঘ গোবিন্দের উপর হামলা চালায়।
বাগডোগরার রেঞ্জার সমীরণ রাজ বলেন, এয়ারফোর্স চত্বর পরিষ্কারের কাজ চলছিল। সেই সময়ে চিতাবাঘের হামলায় এক শ্রমিক আহত হন। আমাদেরও এককর্মী জখম হয়েছেন। কার্শিয়াংয়ের এডিএফও চিন্ময় বর্মন বলেন, চিতাটি ধরার জন্য খাঁচার ব্যবস্থা করা হবে। জখম বনকর্মী। - নিজস্ব চিত্র