বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, যেখানে যেখানে বিজেপি বেশি সিট পেয়েছে, সেখানেই গুন্ডামি চলছে। মানুষের রায় মেনে নিতে পারছে না বলেই এই কাজ। রাজ্যে ভোট-পরবর্তী হিংসায় নিহত ১৬ জনের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণাও করেছেন তিনি। জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে অর্ধেক তৃণমূলের, বাকি বিজেপি এবং একজন সংযুক্ত মোর্চার সমর্থক রয়েছেন। ভোটের পরেই যাতে এরকম কোনও ঘটনা না ঘটে তার জন্য শান্তির বার্তা, বিজয় মিছিল না করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মমতা। হিংসা, গণ্ডগোল যে কোনওমতেই বরদাস্ত করা হবে না, বুধবার শপথ নিয়েও সেকথা স্পষ্ট করেছেন। এদিনও তার অন্যথা হয়নি। দলের কর্মীদের উদ্দেশেও কড়া গলায় জানিয়েছেন, ‘কোথাও কোনও গণ্ডগোলে যাবেন না। গুন্ডামি করলে কিন্তু আমি কাউকে ক্ষমা করব না।’
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের বিরুদ্ধেও ভোট-পরবর্তী হিংসায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, ‘আমরা চাই না হিংসা হোক। গত ৩ মে পর্যন্ত আদর্শ আচরণ বিধি কার্যকর ছিল। কিন্তু তারপর করোনার কারণে রাজনৈতিক মিটিং-মিছিল সব কিছু বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা কেন গ্রামে গ্রামে গিয়ে উস্কাচ্ছেন, দাঙ্গার প্ররোচনা দিচ্ছেন, আমি জানি না। আমার অনুরোধ থাকবে, এরকম প্ররোচনা দিয়ে তাঁরা যেন পরিস্থিতি খারাপ না করেন।’ কোচবিহারে তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক উদয়ন গুহের হাত ভেঙে দেওয়ার ঘটনার প্রসঙ্গও টানেন মমতা।
বিজেপির নেতা-মন্ত্রীরা গত ছ’মাস ধরে রাজ্যে এসে বাংলা দখল করতে গিয়ে কোভিডে ধ্বংস করে দিয়েছে গোটা ভারতবর্ষকে, এদিনও সেই অভিযোগ করেছেন মমতা। সেই প্রসঙ্গেই কেন্দ্রীয় টিমের রাজ্যে আসার ব্যাপারে তিনি আরও বলেন, ‘টিম এসেছে, তাদের চা-টা খাইয়েছে। ওরা চলে গিয়েছে। অতিথিরা আসতেই পারেন। তবে এখন কোভিড চলছে। বাইরে থেকে যে কেউ রাজ্যে এলে, আরটিপিসিআর টেস্ট সার্টিফিকেট নিয়ে আসতে হবে।’ কেন্দ্রের মন্ত্রীদের ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য বলে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর।
ভোট-পরবর্তী হিংসা নিয়ে ভুয়ো তথ্য ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে উগ্বিগ্ন শুনিয়েছে মমতার গলা। তিনি বলেন, কেউ যদি ভাবে গণ্ডগোল পাকাবে, সরকার কঠোর হস্তে দমন করবে। কোনওরকম দাঙ্গা করতে দেওয়া হবে না। ঘটনা ঘটেছে কয়েকটি জায়গায়। আমি কারও মৃত্যুই চাই না।’ হিমন্ত বিশ্বশর্মার একটি ট্যুইট প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘বিজেপি সবাইকে নির্দেশ দিয়েছে আমাদের বিরুদ্ধে বলতে। আমাদের কোভিডের জন্য কাজ করতে দিন। আমরা আপনাদের সঙ্গে ঝামেলা করতে চাই না।’ ভুয়ো তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে বিজেপির আইটি সেলের বিরুদ্ধে পুলিস ব্যবস্থা নিচ্ছে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শীতলকুচির ঘটনায় সিআইডি তদন্তের কথাও উঠে এসেছে তাঁর বক্তব্যে।
রমজান মাস চলছে। সামনে ঈদ। তার আগে কোভিড সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নিয়েও সংখ্যালঘুদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, সংখ্যালঘু ভাই বোনেদের বলব, করোনার কথা ভেবে বাড়িতেই বাড়িতে প্রার্থনা করুন। যাতে ধর্মের স্বাধীনতা ও জীবন সুরক্ষিত থাকে। তবে লোকাল ট্রেন বন্ধে গরিব মানুষের অসুবিধার কথাও উঠে এসেছে তাঁর গলায়। অন্যদিকে, কোভিড পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে আগামী সোমবার ইমাম, ধর্মগুরু, পুজো সংগঠকদের নিয়ে বৈঠক করবেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নিজস্ব চিত্র