বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
দলের মধ্যে এই অসন্তোষ কেন? রবার্ট মুন্ডা এবং বেনাম ওঁরাওয়ের কথায়, এই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী নির্বাচন যথার্থ হয়নি। তাই তাঁরা নির্দল হিসেবে লড়াইয়ে নেমেছেন। যদিও তাঁদের প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ানোকে খুব বেশি গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি প্রার্থী পুনা ভেংড়া। তাঁর কথায়, কিছু ভোট কাটা ছাড়া তাঁরা কিছু করতে পারবেন না। তাঁর আরও দাবি, ওই দু’জন বিজেপির কোনও ভোট কাটতে পারবেন না। যদিও কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে এনিয়ে বেশ উদ্বেগের কথাই শোনা গেল। তাঁদের মতে, শুল্কাপাড়ায় বিশেষ না-হলেও, মেটেলিতে এবার বিজেপির প্রচুর ভোট পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই অবস্থায় রবার্ট মুন্ডা ওই এলাকার যথেষ্ট জনপ্রিয় নেতা। তাই তিনি নির্দল হিসেবে দাঁড়িয়ে যাওয়ায়, খানিকটা সমস্যাই হল। বিজেপির এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে রীতিমতো মুচকি হাসছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের প্রার্থী জোসেফ মুন্ডা অবশ্য এবিষয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার যা কাজ করেছে, তাতে তাঁরা জয়ের বিষয়ে ১০০ শতাংশ আশাবাদী। বিজেপিকে নিয়ে তাঁরা বিশেষ ভাবতেও রাজি নন। লোকসভা ভোটের ফল এই নির্বাচনে কোনও প্রভাব ফেলবে না। লকডাউনে বর্তমান রাজ্য সরকার তথা তৃণমূল দল যেভাবে মানুষের পাশে ছিল, তাতে সকলেই খুশি। তাই ভোটের দিনও এখানকার মানুষ তৃণমূলের পাশেই থাকবে বলে সকলেই আশাবাদী।
তৃণমূলের নিচুতলার কর্মীদের দাবি, ২০১৬-র ভোটে জোসেফ মুন্ডা কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন এই কেন্দ্রে। তখন তৃণমূল প্রার্থী তিন হাজারের অল্পকিছু বেশি ভোটে জিতেছিলেন। পরে তৃণমূল বিধায়ক বিজেপিতে এবং কংগ্রেসের জোসেফ মুন্ডা তৃণমূলে যোগ দেন। এবার তাঁকেই প্রার্থী করেছে তৃণমূল। উল্টোদিকে, শুক্রা মুন্ডা বিজেপিতে গেলেও যোগ্য সম্মান নিয়ে কাজ করতে পারছেন না। এই অবস্থায় তৃণমূলের পরিস্থিতি লোকসভার তুলনায় অনেক ভালো হয়েছে। যদিও বিজেপি কর্মীদের পাল্টা দাবি, শুক্রা মুন্ডা এসে তাদের শক্তি অনেক বেড়েছে। এই পরিস্থিতি তারা জিতবেই।
রাজনৈতিক দলগুলি নিজেদের জয়ের সম্পর্কে আশাবাদী হলেও স্থানীয় ভোটারদের মধ্যে অনেক এখনও সংশয় রয়েছে। বিশেষ করে এই কেন্দ্রের নেপালি এবং ভুটানি সম্প্রদায়ের মানুষের ভোট শেষপর্যন্ত কোন বাক্সে যাবে, তা নিয়ে অনেক সংশয় রয়েছে। মেটেলির বাসিন্দা বিজয় ভুজল বলেন, কংগ্রেস প্রার্থী সুখবীর সুব্বা রয়েছেন। তিনি কতটা পাহাড়ি মানুষের ভোট কাটতে পারেন, সেটার উপরই এখনকার ভোট নির্ধারিত হবে। চামুর্চির বাসিন্দা রেখা ভুটিয়া বলেন, লকডাউনে দিদির দেওয়া রেশন পেয়েছি ঠিকই। কিন্তু, শুধু পেট ভরিয়ে কী আর জীবন চলে? কোনও রাজনৈতিক দল তাঁদের অবস্থার দিকে ফিরে তাকায়নি। মেটেলির বাসিন্দা ভোলা দাস বলেন, এই এলাকা এখনও তৃণমূলের দখলে রয়েছে। কিন্তু, মানুষের মধ্যে অন্য হাওয়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। তাই কী হবে বলা যাচ্ছে না। চালসার বাসিন্দা রাজু প্রধান বলেন, এখানে ৪৯টি চা-বাগান রয়েছে। তিনটি এখন বন্ধ। বাকি চা-বাগান সবই খুলে দেওয়া হয়েছে। এবিষয়ে তৃণমূল সরকার যথেষ্ট উদ্যোগী হয়েছিল। তবে এখানকার চা-বাগানের মানুষ লকডাউনে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে টাকা পেয়েছে। তাই বহু মানুষ দ্বিধাবিভক্ত। কী হবে? সেটাই দেখার অপেক্ষা।