বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
তবে শুধু এখানেই নয়, কোদালবস্তি থেকে শুরু করে সাঁতালি বস্তি, মেন্দাবাড়ি সর্বত্রই একইরকম চিত্র। হাসিমারা এলাকার বাসিন্দা বিনয় নার্জিনারি বলেন, এবার বলা যাচ্ছে না। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। তৃণমূল এবং গোর্খারা তো এখানে শক্তিশালী ছিলই। কিন্তু, গত পাঁচ বছরে বিজেপিও তাদের সংগঠনকে মজবুত করেছে। কালচিনি বাজার থেকে রাঙামাটি, চুয়াপাড়া সর্বত্রই একই কথা শোনা গেল। চুয়াপাড়ার বাসিন্দা সুজা মুণ্ডা বলেন, এবার এখানে জয়-পরাজয় নির্ভর করবে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের উপর। কিন্তু, কীভাবে? তিনি বলেন, এই বিধানসভা এলাকায় ৪৮ শতাংশ আদিবাসী ভোট আছে। নেপালি অথবা গোর্খা সম্প্রদায়ের ভোট ৪০ শতাংশের একটু বেশি। আর এখানে রাজনৈতিক দলগুলি যাঁদের প্রার্থী করেছে, তাঁরা কেউই আদিবাসী সম্প্রদায়ের নয়। লামা রয়েছে নেপালি সম্প্রদায়ের। মেচ, নার্জিনারি, রাভাদের ভোটের বড় অংশ পাবেন সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী অভিজিৎ নার্জিনারি এবং নির্দল প্রার্থী বিনয় নার্জিনারি। এবার আদিবাসীরা কোন দিকে ভোট দেবে, সেটাই দেখার। এখানে নির্দল প্রার্থী হিসেবে রেখা এক্কা বলে আদিবাসী সম্প্রদায়ের একজন দাঁড়িয়েছেন। তিনি কতটা ভোট কাটবেন এবং তৃণমূল-বিজেপি কার বাক্সে কতটা ভোট যাবে, তার উপরই এখানকার ভাগ্য নির্ধারিত হবে বলে মনে করছেন কোদালবস্তির নির্মল রাই। কালচিনির টোটোচালক প্রেমকুমার লামা বলেন, এবারও তৃণমূলের পাল্লা ভারী লাগছে। তবে শেষ পর্যন্ত কী হবে, কে জানে? নিমতির মনোজ টিরকের কথায়, এবার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। দু’পক্ষই বেশ ভালো মনে হচ্ছে। মধ্য সাঁতালি বস্তির প্রদ্যুত সুব্বা বলেন, এবার হাওয়া ঘুরছে। একবার মনে হচ্ছে তৃণমূল, তো পরমুহূর্তেই বিজেপি। দক্ষিণ মেন্দাবাড়ির সন্তু ওঁরাও বলেন, তৃণমূল কাজ করেছে। এখানকার নদীর উপর ব্রিজ এই আমলেই হয়েছে। কিন্তু, এলাকায় বিজেপির হাওয়া রয়েছে। মানুষ তাতে প্রভাবিত হলে বলা মুশকিল কী হবে।
প্রতিশ্রুতির ঝড় বইছে কালচিনিতে। তৃণমূল প্রার্থী পাসাং লামার দাবি, বর্তমান সরকার প্রচুর কাজ করেছে। সেই কাজকেই আরও এগিয়ে নিয়ে যাব আগামী দিনে। বিশেষ করে এখানে বহু চা-বাগান বন্ধ ছিল একসময়। সরকার অধিকাংশই খুলে দিয়েছে। উল্লেখ্য, এই বিধানসভার মধ্যে মাত্র দু’টি চা বাগান এখন বন্ধ। বাকি সব খুলে গিয়েছে। মজুরি ১৭৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০২ টাকা করা হয়েছে। আরও বাড়ানো হবে। বন্ধ চা-বাগানের শ্রমিকদের এখন ১২০০ টাকা দেওয়া হচ্ছে। জিতে এলে ওটা ১৫০০ টাকা করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন লামা। সেই সঙ্গে দীর্ঘদিনের দাবি মেনে পানা নদীর উপর সেতু তৈরি করা হয়েছে। ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হয়েছে বলে তাঁর দাবি। উল্টোদিকে, বিজেপি প্রার্থী বিশাল লামার দাবি, তারা রাজ্যে ক্ষমতায় এলে ন্যূনতম মজুরি ৩৫০ টাকা করবে চা-বাগানে। সেন্ট্রাল ডুয়ার্সে যেখানে প্রায় ১০টা চা-বাগান এলাকা রয়েছে, সেখানে গ্রামীণ রাস্তা বেহাল, বর্তমান সরকার কিছুই করেনি। অন্যদিকে, সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী অভিজিৎ নার্জিনারি মূলত চা-বাগানের ছেলে। তাই চা-বাগানের সার্বিক উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধির কথা বলছেন প্রচারে বেরিয়ে।