বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
ভোটকুশলী পিকে এবারের নির্বাচনে তৃণমূলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা। তাঁর সংস্থা ইন্ডিয়ান পলিটিক্যাল অ্যাকশান কমিটি বা আইপ্যাক তৃণমূলের হয়ে প্রচারের কাজ করছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যে এসে ২০০ আসন জয়ের টার্গেট বেঁধে দিয়েছেন। কিন্তু ২০০ আসন জয় তো দূরের কথা, বিজেপির রাজ্যে ক্ষমতায় আসার কোনও সম্ভাবনা নেই বলে একবাক্যে জানিয়ে দিয়েছেন পিকে। সর্বভারতীয় একটি বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, বিজেপি বাংলায় ১০০টির বেশি আসন পেলে ভোট কুশলীর কাজই ছেড়ে দেব। বিজেপি জিতলে পেশাই বদলে ফেলব। আইপ্যাকও ছেড়ে দেব। আর কোনও ভোট প্রচারে আমাকে দেখতে পাওয়া যাবে না। এমনকী তিনি এটাও উল্লেখ করেছেন, বিজেপিকে হারিয়ে তৃণমূলকে জেতাতে না পারলে, মনে করব এই কাজের যোগ্য আমি নই। বিশেষত, পিকে’র রাজনৈতিক কর্মকান্ড নিয়ে দেশজুড়ে চর্চা হয়েছে একাধিকবার। বিজেপি, কংগ্রেস সহ দেশের বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের পরামর্শদাতা হিসেবে তিনি কাজ করেছেন। তাতে সাফল্যও এসেছে। ট্র্যাক রেকর্ড বলছে, প্রশান্তের গ্রাফ উর্ধ্বমুখী। তবে উত্তরপ্রদেশে সাফল্য পাননি তিনি। এর কারণ তুলে ধরে বলেছেন, উত্তরপ্রদেশে হেরেছিলাম, কারণ ওখানে আমি যা চেয়েছিলাম, তা করতে পারিনি। তবে বাংলায় পরাজিত হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানান তিনি। তাঁর বক্তব্য, বাংলা নিয়ে এমন কোনও অভিযোগ নেই। কারণ দিদি আমাকে কাজ করার পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন। এরপরও যদি আমি হেরে যাই, তাহলে বুঝতে হবে আমি কাজের যোগ্য নই।
এর আগে পিকে একাধিকবার জানিয়েছেন, বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় আসার যতই চেষ্টা করুক, সেটা পূরণ হবে না। কারণ বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়। এখানেই শেষ নয়। তিনি জানিয়েছেন, বিজেপি নেতাদের শুধুমাত্র ফাঁকা আওয়াজ। ভোটে জেতা সম্ভব নয়। আমি এখানে বন্ধু বানানোর জন্য আসেনি। তৃণমূলকে বিজয়ী করতে এসেছি। কোনও নেতাকে পাত্তা দিচ্ছি না, এমনটা নয়। তৃণমূলের যেটুকু ফাঁকফোকর ছিল, তা পূরণ করার চেষ্টা করেছি। ভোটের আগে অর্থ, পদ, টিকিটের অফার পেলে অনেকেই যে দলবদল করে, তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। তৃণমূল ছেড়ে অন্যত্র চলে গেলেও দলের কোনও ক্ষতি হবে না। প্রত্যয়ী পিকে’র বার্তা—২ মে মিলিয়ে নেবেন, কে কত বড় নেতা!