বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
আনএডেড মাদ্রাসার শিক্ষকদের সংগঠন সরকারি আর্থিক সাহায্য সহ বিভিন্ন দাবিতে সল্টলেকে বিকাশ ভবনের কাছে গত ৪০ দিন ধরে অনশন অবস্থান আন্দোলন করছে। বাজেটে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার ঘোষণা করার পর ওয়েস্ট বেঙ্গল রেকগনাইজড আনএডেড মাদ্রাসা টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল সরকারি বিজ্ঞপ্তি ঘোষণা না করা পর্যন্ত আন্দোলন তোলা হবে না। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ্যে আসার পর সংগঠনের সভাপতি শেখ জাভেদ মিঞাদাদ বলেন, বিজ্ঞপ্তিতে তাঁরা খুশি নন। তাই এখন আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। শিক্ষকদের বেতন বাবদ কত টাকা দেওয়া হবে সরকার সেব্যাপারে কিছুই জানায়নি। সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে অবশ্য উল্লেখ করা হয়েছে, শিক্ষকদের বেতনের ব্যাপারে পরে জানানো হবে। বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখার পর এটা ঠিক করা হবে।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সরকার স্বীকৃত, কিন্তু কোনও অনুদান পায় না এমন আনএডেড মাদ্রাসার সংখ্যা ২৩৮টি। এই মাদ্রাসাগুলিকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত ২০১১ সালে সরকার নেয়। কিন্তু তখন বলা হয়েছিল স্বীকৃতি দেওয়া হলেও কোনও আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে না। কিন্তু কিছুদিন পর থেকে মাদ্রাসার শিক্ষকদের সংগঠন বেতন সহ অন্যান্য খরচের দাবিতে আন্দোলনে নেমে পড়ে। এই মাদ্রাসাগুলিতে প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষক আছেন। ছাত্র সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার। প্রসঙ্গত, রাজ্যে সরকারি অনুমোদিত ও আর্থিক সাহায্যপ্রাপ্ত ৬১৪টি মাদ্রাসা আছে। ওই মাদ্রাসাগুলির শিক্ষক ও কর্মীদের বেতন ও অন্যান্য খরচের পুরোটাই সরকার বহন করে। শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী এখানে নিয়োগ করা হয় মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে। আনএডেড মাদ্রাসাগুলি নিজেরাই শিক্ষক নিয়োগ করেছে।