বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
নির্বাচনের প্রাক্কালে গেরুয়া শিবিরের নানা হুঙ্কারে ‘ইতিউতি’ ভাব প্রকাশ করছেন জোড়াফুল শিবিরের অনেকেই। বিষয়টি নজরে এসেছে তৃণমূল নেত্রীরও। এই বিষয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন বাঁকুড়ার মঞ্চ থেকে। গলায় কটাক্ষের সুর—কেউ কেউ ভাবছে, লাইন করে রাখি। বাই চান্স যদি চলে আসে! তাদের বলছি, চান্সই তো নেই, তার আবার বাই। প্রত্যয়ী কণ্ঠস্বর মমতার—সব বুঝে নেব। সব কটা আসন বুঝে নেব। গেরুয়া শিবিরকে ফের তোপ তৃণমূল সুপ্রিমোর। তাঁর কথায়, এমএলএদের ফোন করে বলছে ৩০ লাখ টাকা দেব। চলে আসুন। কাউকে আবার দু’কোটি টাকা পর্যন্ত অফার করা হচ্ছে। আর সিপিএম! সারদা-নারদ থেকে বাঁচতে এখন তো ওদের (বিজেপি) পায়ে পড়ে গিয়েছে। তেমনই কংগ্রেসও। এরা তিনটে দল মিলে জগাই-মাধাই আর বিদাই। বিজেপি বলছে, হয় ঘরে থাক, নয় জেলে থাক। নানা এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখাচ্ছে। এবার হুঙ্কার মমতার—ক্ষমতা থাকলে আমাকে অ্যারেস্ট করো। লালুজি জেলে আটকে রেখেছ। কী লাভ হয়েছে! কোনওক্রমে ম্যানুপুলেশন করে বিহারে জিতেছে। আমাকে জেলে পুরলে, জেল থেকে বাংলা জিতিয়ে আনব। ফের সায় জানাল মাঠ উপচানো ভিড়।
লোকসভা ভোটের পর থেকে সাংগঠনিক স্তরে নানা পরিবর্তন এনেছেন মমতা। বদলে দিয়েছেন নানা জেলার পর্যবেক্ষক। কারও নাম না করে তৃণমূল সুপ্রিমো এদিন যা বলেছেন, তাতে আশ্বস্ত হতে পারে সংশ্লিষ্ট সবাই। তাঁর কথায়, অনেকেই ভাবছেন বাঁকুড়া, আসানসোল, মালদহ, জলপাইগুড়ি আর পুরুলিয়ার মতো অংশে দলের পর্যবেক্ষক কে হবেন! তাঁদের সবাইকে বলি, গোটা রাজ্যের সব জেলা, ব্লক আর বিধানসভা কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক (অবজার্ভার) দলের তরফে আমিই, আর কেউ নয়। দলের কর্মী আমি, অবজার্ভারও আমি। দলের সব স্তরকে আরও আশ্বস্ত করে মমতা জানিয়ে দিলেন, এবার থেকে দলের যাবতীয় ভালোমন্দ আর খুঁটিনাটি তিনি নিজেই দেখবেন। অন্য কেউ নয়। তাঁর গলায় আক্ষেপের সুর—সরকারি কাজে চাপে একটু ঢিলেমি দিয়েছিলাম সংগঠনের কাজে। আর তা হবে না। এটা বাঁকুড়া থেকেই শুরু করলাম।
কর্মী-সমর্থকদের মমতার সতর্কবার্তা—একটা কথা বলে যাই। দু’-একজনকে দেখতে পাবেন, হয়তো তৃণমূল করে... আবার এদিকে-ওদিকে যোগাযোগও রাখে। কে কোথায় যোগাযোগ রাখছে, সব খবর আছে আমার কাছে। কে কাকে ফোন করছে, কখন রাতে কার বাড়িতে যাচ্ছে, সব জানতে পারছি। এবার কৌতুকের সুরে মমতার ইঙ্গিতবাহী মন্তব্য—আসলে তারা ছাগলের তৃতীয় সন্তান। মাঠে ছেড়ে রাখা আছে। এখান থেকে যেমন খবর যায়। তেমনই ওদিকের খবরও তো আসে, নাকি!