বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
মেঘ কাটলে তাপমাত্রা কমবে, সেই আভাস আগেই দিয়েছিল হাওয়া অফিস। তাই বলে এক ঝটকায় এতটা কমবে, তা ভাবতে পারেননি কেউ। এদিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ইতিমধ্যেই জাঁকিয়ে শীত পড়ে গিয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের কোথাও কোথাও পারদ নেমেছে ১০ ডিগ্রির নীচে।
আজ মঙ্গলবার শীত এই চেহারায় থাকলেও বুধ-বৃহস্পতিবার অবশ্য তাপমাত্রা ফের বাড়বে বলেই মনে করছে আবহাওয়া দপ্তর। আলিপুর আবহাওয়া অফিসের অধিকর্তা ডঃ জি সি দাস জানিয়েছেন, উত্তুরে হাওয়া সক্রিয় হতেই তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ের পর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ফের বেড়ে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি চলে যাবে। তারপর অবশ্য আবার নিম্নমুখী হবে পারদ। শীতকালে তাপমাত্রার এই ওঠা-নামা স্বাভাবিক, বলছেন আবহাওয়াবিদরা। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, নভেম্বর মাসে তাপমাত্রা এতটা কমে যাওয়ার মধ্যে অস্বাভাবিকতা কিছু নেই। অতীতের পরিসংখ্যান বলছে, নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রির আশপাশে নেমে আসার একাধিক নজির আছে। এই নভেম্বরে তা ১৫ ডিগ্রির নীচে নামে কি না, সেটাই এখন দেখার। আবহাওয়া দপ্তরের রেকর্ড অনুযায়ী, নভেম্বরে কলকাতায় সব থেকে বেশি ঠান্ডা পড়েছিল ১৮৮৩ সালে। দিনটা ছিল ২২ নভেম্বর। সেদিন এই শহরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কলকাতায় ঠান্ডা-গরম মাপা হয় আলিপুর আবহাওয়া অফিসে। আবহাওয়াবিদদের বক্তব্য, ওই সময় আলিপুর আবহাওয়া অফিসের চারপাশ ছিল ফাঁকা। পরিবেশও ছিল অন্যরকম। এখন সেখানে বহুতলের সারি। ফলে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে উত্তুরে হাওয়া।
এদিকে, উত্তর ও পূর্ব ভারতে শীত হেঁশেলে ঢুকে পড়লেও ঘূর্ণিঝড়ের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে রয়েছে দক্ষিণ ভারত। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি শক্তিশালী হয়ে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। কাল, বুধবার এই ঘূর্ণিঝড় তামিলনাড়ু-পুদুচেরি উপকূলে আছড়ে পড়ার কথা। সেখানে ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০-১২০ কিলোমিটার হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় ও নিম্নচাপের প্রভাবে অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানাতেও ভালো বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টি না হলেও বঙ্গোপসাগর থেকে বেশি পরিমাণ জলীয় বাষ্প বায়ুমণ্ডলে ঢুকে পড়বে। সেকারণেই তাপমাত্রা বাড়তে পারে। আকাশও আংশিক মেঘলা থাকবে। নতুন তালিকা অনুযায়ী এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম ‘নিভার’। নামটি ইরানের দেওয়া। এর আগের ঘূর্ণিঝড়টির নাম ছিল ‘গতি’। নামকরণ করেছিল ভারত। আরবসাগরে তৈরি হওয়া ‘গতি’ এদিনই আফ্রিকার সোমালিয়া উপকূলে আছড়ে পড়েছে।