নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কৃষকদের অধিকার নিয়ে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে শনিবার দেশ জুড়ে প্রতিবাদে শামিল হল কংগ্রেস। হাইকমান্ডের নির্দেশে এরাজ্যেও তার ব্যতিক্রম করেনি প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের জন্ম এবং ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যু দিবসকে সামনে রেখে এই কর্মসূচির জন্য দিনটিকে বেছে নিয়েছিল সোনিয়া গান্ধীর দল। নেতৃত্বের নির্দেশে এদিন প্রদেশ কংগ্রেসের দপ্তর বিধান ভবনে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত চলে ধর্না-সত্যাগ্রহ। বিধান ভবনের পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা কোথাও প্যাটেল, কোথাও বা ইন্দিরার মূর্তির সামনে এই কর্মসূচি পালন করে। সভাপতি অধীর চৌধুরি দিল্লিতে থাকায় তিনি এদিন রাজ্যের কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারেননি। তবে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান, সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য, ইস্তাহার কমিটির সদস্য অমিতাভ চক্রবর্তীসহ কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতৃত্ব বিধান ভবনের পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় এই কর্মসূচিতে যোগ দেন। কেন্দ্রের আনা নয়া কৃষি বিলগুলি কৃষকদের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করবে—এই মর্মে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তাঁরা বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন ধর্না মঞ্চে। কৃষি বিলের প্রতিবাদে ৬ তারিখ কংগ্রেস কলকাতাসহ জেলাগুলিতে ট্রাক্টর মিছিল করবে বলে ঠিক আছে।
এদিকে, নয়া কৃষক ও শ্রমিক আইনগুলির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে আসরে নামছে কংগ্রেসের দোসর বামেরাও। এই ইস্যুগুলিকে সামনে রেখে তারা এখন পাখির চোখ করেছে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ডাকা ২৬ নভেম্বরের সাধারণ ধর্মঘটকে। এদিন সিপিএমসহ ১৬টি বাম দলের তরফে এক বিবৃতিতে সেই ধর্মঘট সফল করার আহ্বান জানিয়ে বলা হয়েছে, আগামী ৩ তারিখ বেলা আড়াইটেয় পার্ক সার্কাস থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত হবে মহামিছিল। তারপর ১৮ থেকে ২১ তারিখ পর্যন্ত বিভিন্ন ব্লকে চলবে বিক্ষোভ ও ডেপুটেশন পর্ব। ২৩ ও ২৪ নভেম্বর একই ধাঁচের কর্মসূচি হবে বিভিন্ন জেলা সদরে। ব্লক ও জেলা স্তরের এই কর্মসূচিতে যাতে কংগ্রেসকেও শামিল করা যায়, সেজন্য বামেদের তরফে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।