বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মিগুয়েল নিকোলেলিস জানান, এই আবিষ্কার অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, পূর্ববর্তী গবেষণায় দেখা গিয়েছিল, ডেঙ্গু আক্রান্ত কোনও ব্যক্তির কোভিড পরীক্ষা করা হলে তিনি ‘ফলস পজিটিভ’ হিসেবে ধরা পড়ছেন। অর্থাৎ, ওই ব্যক্তি আদতে করোনা আক্রান্ত না হলেও রিপোর্টে তাঁকে সংক্রামিত বলে দেগে দেওয়া হচ্ছে। আর একেই ডেঙ্গু-করোনার সম্পর্কের প্রমাণ হিসেবে হাজির করেছেন মিগুয়েল। তিনি বলেন, ‘দু’টি ভাইরাসের মধ্যে ইমিউনোলজিক্যাল সংযোগ রয়েছে। এটা এতদিন চিন্তার বাইরে ছিল। কারণ, উভয় ভাইরাস সম্পূর্ণ আলাদা গোত্রের।’
কীভাবে চালানো হল এই সমীক্ষা? গবেষকরা বলছেন, ব্রাজিলের পারানা, সান্টা কাটারিনা, মিনাস গেরাইসের মতো অঞ্চলে গত বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ ছড়িয়ে পড়ে। অথচ এসব জায়গায় করোনা তেমন বিষদাঁত ফোটাতে পারেনি। প্রথমে মানচিত্র খুঁজে এমন কয়েকটি স্থান তাঁরা নির্বাচন করেন। তারপর সম্ভাব্য কারণ নিয়ে কাটাছেঁড়া করতে গিয়েই ডেঙ্গুর ইস্যুটি উঠে আসে। কাকতালীয় এই আবিষ্কার নিয়ে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত মিগুয়েল। তিনি জানান, ‘এটা চূড়ান্ত আকস্মিক ছিল। পুরোপুরি দুর্ঘটনাই বলা চলে। যদিও বিজ্ঞানে এমন ঘটনা হামেশাই ঘটে। আপনি হয়তো একটা জিনিস খুঁজে চলেছেন। কিন্তু শেষমেশ এমন লক্ষ্যে আঘাত করলেন, যে বিষয়ে আদৌ তেমন কিছু কল্পনাই করেননি।’