উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। হিসেব করে চললে তেমন আর্থিক সমস্যায় পড়তে হবে না। ব্যবসায় উন্নতি ... বিশদ
গত বছর ট্রাই জানিয়েছিল, ন্যূনতম ১০০টি চ্যানেলের জন্য দর্শকের থেকে ‘ক্যাপাসিটি ফি’ বাবদ ১৩০ টাকা নিতে পারবেন অপারেটররা। সঙ্গে দিতে হবে জিএসটি। এরপর পে চ্যানেলগুলির জন্য দিতে হবে আলাদা টাকা। দর্শক চাইলে সেগুলিকে নিয়ে পৃথক ‘বোকে’ তৈরি করতে পারেন। দাম দিতে হবে সেই মতো। এই নিয়মটি চালু করার মূল উদ্দেশ্য ছিল—দর্শক যা দেখবেন, শুধু তার জন্যই পয়সা মেটাবেন। এর আগে নানা প্যাকেজে অপছন্দের চ্যানেলের পয়সা গুনতে হতো।
কিন্তু সেই নিয়ম চালুর পরেও বহু ক্ষেত্রে দর্শকের স্বার্থরক্ষা হয়নি বলে অভিযোগ আনে ট্রাই। তাদের মূল বক্তব্য, এক একটি চ্যানেলের দাম অনেকটা বাড়িয়ে রাখা হয়েছে। সেগুলিই যখন বোকে বা প্যাকেজে ঢুকছে, তখন তার দাম কমে যাচ্ছে। আবার সেই প্যাকেজে এমন বেশ কিছু চ্যানেলও গুঁজে দেওয়া হচ্ছে, যা হয়তো দর্শকের পছন্দ নয়। মাত্র কয়েকটি পছন্দের চ্যানেলের জন্য তারা সেই বোকে বা প্যাকেজ নিতে বাধ্য হচ্ছেন। কারণ, আলাদা করে সেগুলি নিতে তাঁর বেশি খরচ হতো।
চলতি বছরের নয়া নিয়মে ট্রাই কয়েকটি শর্ত বেঁধে দেয়। সেগুলি হল—পে চ্যানেলগুলির প্যাকেজমূল্য এককভাবে তাদের মোট দামের দেড় গুণের বেশি কখনওই হবে না। দ্বিতীয়ত, ১২ টাকা বা তার কম দামের চ্যানেলগুলিই একমাত্র প্যাকেজে রাখা যাবে। তার উপরে দাম হলেই আলাদা কিনতে হবে। পাশাপাশি তারা আরও জানায়, ১৩০ টাকায় ১০০টির পরিবর্তে সর্বাধিক ২০০টি চ্যানেল দেখাতে হবে। গত ১ মার্চ থেকে নিয়মটি চালু হওয়ার কথা থাকলেও, ট্রাইয়ের বিরুদ্ধে আদালতে যায় একাধিক চ্যানেল। বিষয়টি এখনও বিচারাধীন।
তবে হাল ছাড়তে রাজি নয় টেলিকম নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ট্রাই সাফ জানিয়েছে, আদালতের তরফে কোনও স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়নি। তাই আর দেরি নয়! ১০ আগস্ট থেকে নতুন নিয়ম চালু করতেই হবে। আর এতেই চ্যানেলের দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। কারণ—প্রথমত, এখন প্রায় প্রতিটি প্যাকেজে এমন অনেক জনপ্রিয় চ্যানেল রয়েছে, যেগুলির দর ১৯ টাকা। নিয়ম মতো সেগুলি আর প্যাকেজে রাখা যাবে না। দর্শককে আলাদা করে কিনতে হবে। তাই খরচ বাড়বে। দ্বিতীয়ত, প্যাকেজ ও চ্যানেলের আলাদা আলাদা দরের সামঞ্জস্য আনতে চায় ট্রাই। সেক্ষেত্রে প্যাকেজের দর বাড়িয়ে দিতে পারে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই একাধিক চ্যানেল গোষ্ঠী সে কথা ঘোষণাও করেছে।
সিটি কেবল কর্তা সুরেশ শেঠিয়া জানিয়েছেন, এখনও বেশিরভাগ চ্যানেলই ট্রাইয়ের নতুন নিয়ম মতো রেট ঘোষণা করেনি। তা করলে বিষয়টি স্পষ্ট হবে। একদিকে যেমন চ্যানেলগুলির আয় বাড়ানো দরকার, তেমনই দর্শক ধরে রাখার দিকটাও দেখতে হবে। সেক্ষেত্রে বেশি দামের গোঁ ধরে বসে থাকলে এবং প্যাকেজের বাইরে রেখে আলাদা বিক্রি করার নীতি নিলে, দর্শক সেই চ্যানেল নাও দেখতে পারেন।
নির্দেশনামার ছাতার তলায় থেকেই প্রতিযোগিতা... চ্যানেলের আগামী চ্যালেঞ্জ এটাই।