উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। হিসেব করে চললে তেমন আর্থিক সমস্যায় পড়তে হবে না। ব্যবসায় উন্নতি ... বিশদ
রাজ্যজুড়ে সরকারি এবং বেসরকারি মিলিয়ে ৬৪৯টি ডিএলএড কলেজ রয়েছে। তার মধ্যে সরকারি কলেজগুলিতে আসন সংখ্যা ৩ হাজার ৭০০। বাংলা মাধ্যমের আসন সব মিলিয়ে ৪৫ হাজার ২০০। এবারই প্রথম সাঁওতালি মাধ্যমের জন্য ৫০টি আসন সংরক্ষিত করা হয়েছে। এছাড়াও হিন্দি, নেপালি এবং উর্দুতে যথাক্রমে ৩০০, ১০০ এবং ৫০টি আসন সংরক্ষিত। আবেদনকারীদের অবশ্যই রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
১০ আগস্ট থেকে www.wbbpe.org এবং http://wbbprimaryeducation.org-এই দু’টি ওয়েবসাইটে ঢুকে আবেদন করতে পারবেন প্রার্থীরা। একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে। সেই সংস্থার কেন্দ্রে গিয়ে আবেদন করলে প্রার্থীদের ইন্টারনেটের খরচ লাগবে না। রাজ্যজুড়ে এমন প্রায় ১৭ হাজার কেন্দ্র রয়েছে বলে মানিকবাবুর দাবি। তবে অ্যাপ্লিকেশন ফি কত রাখা হবে, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি।
শুধু অনলাইন অ্যাডমিশন নয়, অনলাইনে ক্লাস শুরু করে দেওয়ার কথাও ভাবছে পর্ষদ। এর জন্য প্রার্থীদের কাছ থেকে মোবাইল এবং হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চাওয়া হয়েছে। তাতে গুগল মিটের লিঙ্ক পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তাতে রেজিস্টার করে ঢুকলে পড়ুয়ার হাজিরা নথিবদ্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু রাজ্যজুড়ে কী অনলাইন পড়াশোনার পর্যাপ্ত পরিকাঠামো রয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তরে সভাপতি বলেন, ইন্টারনেট এখন সব জায়গাতেই রয়েছে বলে মনে হয়। আর উচ্চ মাধ্যমিকের পড়ুয়াদের নিজের না হোক, বাড়ির কারও কাছে স্মার্টফোন রয়েছে ধরে নিচ্ছি। তবে পড়ুয়াদের বলা হবে, নিজের ফোন নম্বর না থাকলে তার নাগালে থাকবে, এমন কোনও নম্বর দেওয়ার জন্য। সূত্রের খবর, অনলাইন পঠন-পাঠন চালুর জন্য রাজারহাটে একটি স্টুডিও তৈরি করছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেখানে শিক্ষকরা এসে একসঙ্গেই ৪৫ হাজার পড়ুয়ার ক্লাস নেবেন। তবে, রাজ্য সরকার যদি অফলাইন ক্লাসের উপর জোর দেয়, তাহলে অবশ্য সেই পরিকল্পনা বাতিল করতে হবে।
গতবার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট (টেট)-এ পাশ করা প্রায় দেড় হাজার প্রার্থী রয়েছেন, যাঁদের সেই সময় প্রশিক্ষণ ছিল না। তাই তাঁরা চাকরি পাননি। কিন্তু পরে তাঁরা ডিএলএড করেছেন। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁরা দাবি করছেন, সরাসরি নিয়োগ দেওয়া হোক তাঁদের। কিন্তু পর্ষদ জানাচ্ছে, বিজ্ঞপ্তির সময় তাঁদের যে যোগ্যতা ছিল, সেটাই গ্রাহ্য হবে। তাঁদের অগ্রাধিকারের বিষয়ে সরকারের কোনও নির্দেশিকা নেই। সব ঠিক হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও লকডাউনের জন্য এবারের টেট শেষ মুহূর্তে আটকে গিয়েছে বলে পর্ষদের দাবি। প্রসঙ্গত, উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগের ক্ষেত্রে ডিএলএডের সঙ্গে বিএডকেও গ্রাহ্য করতে বলেছে শিক্ষক শিক্ষণের কেন্দ্রীয় নিয়ামক সংস্থা এনসিটিই। সেক্ষেত্রে কিন্তু উচ্চ মাধ্যমিক নয়, ন্যূনতম যোগ্যতা হবে গ্র্যাজুয়েশন।