উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। হিসেব করে চললে তেমন আর্থিক সমস্যায় পড়তে হবে না। ব্যবসায় উন্নতি ... বিশদ
বাংলার সিটু নেতৃত্ব অবশ্য এই সংগঠন তৈরিতেও সূক্ষ্ম রাজনৈতিক কৌশল করেছে। ওয়েস্ট বেঙ্গল মাইগ্রান্ট ওয়ার্কাস ইউনিয়ন শীর্ষক এই সংগঠনের মূল নেতৃত্বে তারা যথেষ্ট পরিমাণে সংখ্যালঘু মুখ রেখেছে। সভাপতি নদীয়ার প্রাক্তন বিধায়ক এসএম সাদি, কার্যকরী সভাপতি আসাদুল্লা গায়েন, অর্গানাইজিং সেক্রেটারি জামির মোল্লা এবং সর্বোপরি সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান— নেতৃত্বের মূল পদগুলিতে সংখ্যালঘুদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে অনেক ভেবেচিন্তেই। ৯০ জনের রাজ্য কমিটিতে রয়েছে আরও অনেক সংখ্যালঘু মুখ। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান নিজে একজন পরিযায়ী শ্রমিক। মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা মান্নান পেশায় একজন নির্মাণ শ্রমিক।
প্রকাশ্যে এনিয়ে কোনও আলোচনা না চাইলেও সিটুর এক রাজ্য নেতা যুক্তি দিয়ে বলেন, লকডাউন পর্বে বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়া বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগের ফলে সংগঠনের কাছে এব্যাপারে এক বিশাল তথ্যভাণ্ডার রয়েছে। সেই তথ্য যাচাই করে দেখা গিয়েছে যে পরিযায়ী শ্রমিকদের শতকরা ৮০ থেকে ৯০ ভাগ সংখ্যালঘু। তাই নবগঠিত সংগঠনের নেতৃত্বে সংখ্যালঘু মুখের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। যদিও এই কৌশলের পিছনে সিপিএম তথা বামেদের সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্ক ফেরানোর একটা স্পষ্ট চেষ্টা রয়েছে বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন। সিটু সূত্রের খবর, লকডাউন শুরু হওয়ার পর প্রায় ছ’লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিকের নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য তাদের কাছে জমা হয়েছে। সেই তালিকা তারা রাজ্য সরকারের কাছে সে সময় পাঠিয়েওছে। সেই তালিকা থেকে প্রথমে এক লক্ষ শ্রমিকের নাম বাছাই করে বিভিন্ন জেলায় ফর্ম পাঠানো হয়েছে সদস্যপদ নেওয়ার জন্য। প্রত্যেক সদস্যকে সিটু একটি করে সুদৃশ্য আইডেনটিটি কার্ডও দেবে। ভিন রাজ্যে কাজে যাওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সংস্থা বা কোম্পানির বিস্তারিত তথ্য সংগঠনের কাজে জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করতে চায় নেতৃত্ব। সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সিটুর নেতৃত্বের সঙ্গে এব্যাপারে সমন্বয় তৈরি করাই এর মূল উদ্দেশ্য হবে। পাশাপাশি বিপদের সময় এখানকার সরকারকে সেই তথ্য দিয়ে সাহায্য করার অভিপ্রায়ও রয়েছে তাদের। সম্প্রতি পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানো নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের সরকারের টানাপোড়েনের কথা মাথায় রেখেই তাদের এই উদ্যোগ বলে জানানো হয়েছে সংগঠনের তরফে।