বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
এর আগে ৯৪টি উদ্বাস্তু কলোনির বাসিন্দাদের নিঃশর্ত দলিল দিয়ে নাগরিকত্বের স্বীকৃতিকে আরও মজবুত করেছেন মমতা। সেগুলি মূলত রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের জমিতে গড়ে উঠেছে। গত ৩ মার্চ উত্তরবঙ্গের কালিয়াগঞ্জে এক জনসভায় আরও ১১৯টি উদ্বাস্তু কলোনির বাসিন্দাদের নিঃশর্ত দলিল দেওয়ার বিষয়টি ঘোষণা করেন মমতা। ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই আইন এবং উদ্বাস্তু পুনর্বাসন দপ্তরের সমন্বয়ে টিম গঠন করে কাজ শুরু হয়। কলোনিগুলির বাসিন্দাদের পরিবার পিছু জমির মাপ নিয়ে সমীক্ষাও আরম্ভ করেন আধিকারিকরা। কিন্তু লকডাউনের জেরে সেই কাজ গতি হারায়। ওই সূত্রটি আরও জানিয়েছে, আনলক-১ পর্ব থেকে ফের শুরু হয়েছে জমির মাপজোক। এবার মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে শেষ করতে হবে কাজ। আগে ঠিক হয়েছিল, সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে সব কাজ শেষ করে কলোনির বাসিন্দাদের ‘টাইটেল ডিড’ প্রদান করতে হবে। এখন সময়সীমা আরও একমাস এগিয়ে আনা হয়েছে।
দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই কাজ শেষ হলে রাজ্যের মোট ২৩৭টি কলোনির মধ্যে ২১৩টির বাসিন্দাদের স্থায়ী ঠিকানা এবং নাগরিক হিসেবে যাবতীয় অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। বাকি ২৪টি কলোনিতেও একই পদ্ধতিতে কাজ হবে। এর মধ্যে কয়েকটি ক্ষেত্রে কিছু আইনগত জটিলতা রয়েছে। সেই সমস্যা মিটিয়ে বাসিন্দাদের টাইটেল ডিড দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, নদীয়া, উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, দুই দিনাজপুর এবং কোচবিহার জেলা মিলিয়ে প্রায় তিন লক্ষ উদ্বাস্তু পরিবারকে নাগরিকত্বের সমস্ত সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছে টিম মমতা।