বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
লকডাউন পর্বে রাজস্ব আদায় তলানিতে গিয়ে ঠেকলেও, বিপর্যয়ের কয়েকদিনের মধ্যেই দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগ অত্যন্ত সদর্থক বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। প্রসঙ্গত, দুর্গত এলাকা পরিদর্শনের পর রাজ্যের জন্য প্রথম দফায় এক হাজার কোটি টাকা মঞ্জুর করার কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রের সেই আর্থিক সাহায্য এখনও মেলেনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, গত ২০ তারিখের ওই ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যে দুর্ভোগে ফেলে দিয়েছে রাজ্যের প্রায় ৬ কোটি মানুষকে। এরপর আবার গত বুধবার ঝড় এল। ৯৬ কিমি প্রতি ঘন্টা গতিতে। দুর্ভোগের উপর দুর্ভোগ। সব মিলিয়ে এক লক্ষ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। মমতা বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে ১০ লক্ষ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার মধ্যে পাঁচ লক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি মেরামতের জন্য ২০ হাজার টাকা করে অনুদান ছেড়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া এদিন থেকেই শুরু করা হল। আরও পাঁচ লক্ষ বাড়ির জন্য অনুদানও উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে। তিনি জানান, এছাড়া এই দুর্গতদের জন্য ১০০ দিনের কাজে ‘জব গ্যারান্টি’ বাবদ আরও ২৮ হাজার টাকার সংস্থান রাখা হয়েছে। প্রত্যেকে পাবেন এই অর্থ। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান জানান, ক্ষতিগ্রস্ত ২০ লাখ কৃষকের জন্য শস্য বিমা, কৃষক বন্ধু সহ অন্য প্রকল্পের সাহায্য তো রয়েছেই, এছাড়াও একর প্রতি আরও দেড় হাজার টাকা করে অনুদান পাবেন তাঁরা। এর জন্য ধার্য হয়েছে ৩০০ কোটি টাকা। রাজ্যের যে এক লক্ষ পান বরজের ক্ষতি হয়েছে, তার প্রতিটি বরজ বাবদ ৫ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে। এরই পাশাপাশি পান চাষীদের জন্য ১০০ দিনের কাজের ‘জব গ্যারান্টি’ হিসেবে ১৫ হাজার টাকা মেলার নিশ্চয়তা রইল। প্রত্যেক চাষী এই টাকা পাবেন। মমতা ঘোষণা করেন পানীয় জলের টিউবওয়েল তৈরির জন্য ২৫০ কোটি, ভাঙা বাঁধ মেরামতের জন্য ২০০ কোটি, রাজ্য সড়ক নির্মাণের জন্য ১০০ কোটি, গ্রামীণ রাস্তার জন্য ১০০ কোটি, স্কুল বাড়ি মেরামতের জন্য ১০০ কোটি, পোল্ট্রি ও পশু পালনের জন্য ১০০ কোটি, মৎস্যজীবিদের জন্য ১০০ কোটি এবং উদ্যানপালনের জন্য আরও ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হল। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দুর্যোগের পর সাত দিনের মধ্যে ছোট-বড় ৪০০ সেতু মেরামত করা হয়েছে। আগামী ৬ জুন বড় কোটালের আগে ভাঙা বাঁধ মেরামত করতে বলা হয়েছে।