বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
বাম-কংগ্রেস এই প্রস্তাবকে সমর্থন জানালেও, নানা ইস্যুকে সামনে এনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা দিতেও ছাড়েনি। বরং কয়েকটি ক্ষেত্রে বিজেপির সুরেই মমতা বিরোধিতায় নেমেছিল তারা। কলকাতা সফরকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মমতার বৈঠক নিয়েও কটাক্ষ করেছে বাম-কংগ্রেস। সমুচিত জবাবও মিলেছে মুখ্যমন্ত্রীর তরফে। বাম-কংগ্রেস বিধায়কদের মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট বার্তা, মোদি আর দিদি কিন্তু এক নয়। সিএএ, এনপিআর এবং এনসিআর বিরোধিতায় পথে নেমে যে স্লোগান আপনারা দিচ্ছেন, তা একদিন ব্যুমেরাং হবে। বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীকে মমতা স্মরণ করিয়ে দেন, আপনাদের ভোটই কিন্তু বিজেপির বাক্সে গিয়েছে। আমাদের ভোট নয়। বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের আব্দুল মান্নানকে উষ্মার স্বরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রোটোকল বলে একটা বিষয় আছে। সরকারে থাকলে অনেক দায়বদ্ধতা থাকে। দেখা করলে বলবেন কেন গেলাম, আবার না গেলেও সমালোচনা করবেন! আর আমি যদি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে অন্যায় করে থাকি, তাহলে কেন কংগ্রেস শাসিত পুদুচেরির মুখ্যমন্ত্রী অমিত শাহকে অভ্যর্থনা জানাতে গিয়েছিলেন? যদি এত বিরোধিতা, তবে কেন আপনাদের মুখ্যমন্ত্রীরা গিয়েছিলেন এনপিআর বৈঠকে। আমি যাইনি, একা বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকার জন্য নয়। যাইনি, কারণ দেখাতে চেয়েছিলাম, আমি একাই লড়তে পারি। যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলো রে। ট্রেজারি বেঞ্চের সদস্যরা টেবিল চাপড়ে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে সমর্থন জানান।
এরপরই বাম-কংগ্রেসকে মমতার পরামর্শ, ঘরে আগুন লাগলে, সেই আগুনে কিন্তু সবাইকেই পুড়তে হবে। আমার বিরুদ্ধে আন্দোলন করার জন্য বছরের বাকি দিনগুলো তো পড়েই রয়েছে। একটা দিন অন্তত এই সংবিধান, গণতন্ত্র এবং জনবিরোধী সিএএ, পরস্পর সম্পর্কযুক্ত এনপিআর এবং এনআরসির বিরুদ্ধে সংবিধান রক্ষায় আসুন একসঙ্গে লড়াই করি। মান্নান সাহেবকে মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ, বন্ধু মনে করি বলেই বলছি, আপনার দলকে বোঝান, এনপিআর মানা মানেই এনআরসি মেনে নেওয়া। এটা একটা অপরের পরিপূরক।
গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে মমতা বলেন, গায়ের জোরে সংবিধান বদলানো যায় না। কোনও দল নিজের নির্বাচনী ইস্তাহার আর এজেন্ডাকে লাগু করতে গিয়ে দেশকে রসাতলে নিয়ে যেতে পারে না। এই আন্দোলন কোনও হিন্দু-মুসলমানের আন্দোলন নয়। এটা আমরা যারা নাগরিক, তাদের দেশরক্ষার লড়াই।
প্রস্তাবকে সমর্থন করে এদিন বিধানসভায় বক্তব্য রাখেন কংগ্রেসের অসিত মিত্র, ফরওয়ার্ড ব্লকের আলি ইমরান রামজ, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, আরএসপি’র বিশ্বনাথ চৌধুরী, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার রহিত শর্মা, সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী এবং কংগ্রেসের আব্দুল মান্নান। বিজেপির স্বাধীন সরকার প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বলেন, এই আইন উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেবে। তুমুল হট্টগোল শুরু হয় অধিবেশন কক্ষজুড়ে।