বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
সাধনবাবু জানিয়েছেন, কলকাতায় তাঁরা জেলা ক্রেতা আদালতের সংখ্যা চারটি করতে চান। ইতিমধ্যেই তিনটি আছে, যার মধ্যে দু’টি ধর্মতলায় এবং একটি আলিপুরে। চার নম্বর ফোরামটি তাঁরা শিয়ালদহ কোর্টে শুরু করতে চান। মন্ত্রী বলেন, শিয়ালদহ কোর্টে আদালত বসানোর জায়গা ইতিমধ্যেই পাওয়া গিয়েছে। অন্যদিকে হাইকোর্ট নতুন কোর্টের অনুমোদন দিয়েছে। আমরা শীঘ্রই সেই কাজ শুরু করব। আশা করি, মার্চের মধ্যেই চতুর্থ জেলা ফোরামটি চালু হয়ে যাবে। মূলত পূর্ব কলকাতার বাসিন্দাদের যাতে ওই ফোরামের আওতায় আনা যায়, সেই চেষ্টাই করা হবে বলে দাবি তাঁর। পাশাপাশি জেলাতেও তাঁরা পরিকাঠামো বাড়াতে চান বলে জানিয়েছেন সাধনবাবু। তিনি বলেন, আমরা আদালতকে মহকুমাস্তরে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। প্রাথমিকভাবে ছ’টি জায়গা চিহ্নিত হয়েছে, যেগুলির মধ্যে রয়েছে বসিরহাট, জঙ্গিপুর, ডায়মন্ডহারবার, হলদিয়া। জেলায় জেলায় ‘মিডিয়েশন’ বা আলোচনার মাধ্যমে ক্রেতা মীমাংসার সুযোগ আরও বাড়ানো হবে বলে এদিন দাবি করেছেন সাধনবাবু।
ক্রেতারা ঠকে গেলে, ক্ষতিপূরণ আদায়ে তাঁরা ক্রেতাসুরক্ষা আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন। প্রতিটি রাজ্যে জেলাস্তরে যেমন আছে জেলা ক্রেতা আদালত, তেমনই রাজ্যস্তরে আছে রাজ্য ক্রেতা আদালত। বড় অঙ্কের ক্ষতিপূরণ পেতে হলে, রাজ্য আদালতে সুরাহা না পেলে ক্রেতাকে ন্যাশনাল কমিশনের দ্বারস্থ হতে হয়। তার জন্য পৌঁছতে হয় দিল্লিতে। মন্ত্রী এদিন বলেন, আমরা রাজ্যেই ন্যাশনাল কমিশনের একটি বেঞ্চ বসানোর জন্য উদ্যোগ নিচ্ছি। আশা করি, নিউটাউনে পাকাপাকিভাবে সেই বেঞ্চ বসানো যাবে। তাহলে আর এখানকার ক্রেতাদের সুরাহা চাইতে দিল্লি পর্যন্ত ছুটতে হবে না।
অনুষ্ঠানে রাজ্যের শ্রমদপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী ডাঃ নির্মল মাজি অভিযোগ করেন, দু’টি বেসরকারি হাসপাতালে একাধিক প্রসূতির মৃত্যু হয় সম্প্রতি। কিন্তু খোঁজ নিয়ে দেখা গিয়েছিল, সার্জারিতে কোনও ত্রুটি হয়নি। অর্থাৎ চিকিৎসায় কোনও গাফিলতি ছিল না। দেখা যায়, একটি নির্দিষ্ট সংস্থার স্যালাইন প্রয়োগের ফলে মারা যান তাঁরা। এখন সিএএ বা এনপিআর নিয়ে আন্দোলনের কারণে বিষয়টি চাপা রয়েছে। এরপর এই অভিযোগ নিয়ে সরব হতে হবে।