বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
এদেশে বিদেশি অতিথির সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। দেশীয় পর্যটকের সংখ্যা তো বাড়ছেই। দেশের ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ পর্যটনস্থলগুলি ঘুরিয়ে দেখানোর জন্য যেসব প্রশিক্ষিত গাইড রয়েছেন, তাঁদের স্বীকৃতি দেয় আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া। প্রয়োজনের তুলনায় সেই গাইডের সংখ্যা অনেকটাই কম। দপ্তরের কর্তাদের বক্তব্য, দিল্লি ও কয়েকটি জায়গায় যেহেতু বিদেশি পর্যটক বেশি যান, তাই সেখানে গাইডের সংখ্যা বেশি। দেশের বহু জায়গা আছে, যেখানে দেশি-বিদেশি পর্যটক ভিড় জমালেও, তাঁদের গাইড করার পরিকাঠামো নেই। দেশজুড়ে সেই খরা কাটাতেই এই উদ্যোগ, দাবি কেন্দ্রের।
পশ্চিমবঙ্গেও প্রশিক্ষিত এবং সরকার স্বীকৃত গাইডের আকাল রয়েছে, মানছে পর্যটন সংস্থাগুলিও। সেখানকার কর্তারা উদাহরণ দিয়ে বলছেন, কলকাতায় ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল বা শহিদ মিনার ঘুরে দেখাতে হয়তো সীমিত সংখ্যক গাইড পাওয়া যায়। কিন্তু চন্দননগরের যে ইতিহাস ও ঐতিহ্য, তা পর্যটকদের ঘুরিয়ে দেখানোর মতো দক্ষ ও প্রশিক্ষিত লোক কই। এই ঘাটতি রাজ্যের সর্বত্রই আছে, বলছেন অনেকেই। তাই দেশজুড়ে যে প্রকল্প চালু হচ্ছে, তাতে পশ্চিমবঙ্গ বিশেষভাবে উপকৃত হবে বলেই মনে করছে কেন্দ্রীয় সরকার। পর্যটন মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, কোর্সটি ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই দেশে প্রায় সাড়ে সাত হাজার মানুষ সাড়া দিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রকের পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান সাগ্নিক চৌধুরী বলেন, আমরা চাই ট্যুর গাইডকে পেশা হিসেবে নিতে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ এগিয়ে আসুন। পার্টটাইম কাজ হিসেবেও এর জুড়ি নেই। বেসিক কোর্সের জন্য খরচ দু’হাজার টাকা। তবে তফশিলী জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের জন্য কোনও কোর্স ফি লাগবে না। নীতি আয়োগ দেশের যে জেলাগুলিকে ‘অ্যাস্পিরেশনাল ডিস্ট্রিক্ট’ বা প্রতিশ্রুতিময় জেলা হিসেবে চিহ্নিত করেছে, সেখানকার অধিবাসীদের কোনও খরচ লাগবে না এই কোর্স করতে। বেসিক কোর্স শেষ হলে, এরপর অ্যাডভান্স কোর্স করা যায় দু’টি ভাগে। একটি অ্যাডভেঞ্চার, অন্যটি হেরিটেজ। কোর্সটি অনলাইনে হলেও, পরীক্ষা দিতে হবে অফলাইনে। কোর্স শেষে পর্যটন শিল্পের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থাও থাকবে বলে জানিয়েছেন রিজিওনাল ডিরেক্টর। তাতে কাজ পেতে সুবিধা হবে বলে তাঁর দাবি। কোর্স শেষ করার পর যেহেতু দেশীয় পর্যটকদের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটকদেরও গাইড করার সুযোগ পাবেন স্বীকৃত ব্যক্তিরা, তাই ভাষা যাতে সমস্যা না হয়, তার জন্য অনলাইনে ভাষা সংক্রান্ত একটি কোর্স চালু করার পরিকল্পনা আছে মন্ত্রকের, জানিয়েছেন সাগ্নিক চৌধুরী।