বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
পি মোহন গান্ধী বলেন, সম্প্রতি আমরা এলাকাগুলি ঘুরে এসেছি। ভালো সাড়া মিলেছে। এথেলবাড়ি ও জয়গাঁর জমি আমাদের হাতে চলে এসেছে। ওখানে পরিকাঠামোগত কিছু কাজ করতে হবে। জেলাশাসকরা বলেছেন একমাসের মধ্যে সেসব কাজ করে দেবেন। কালিম্পংয়ের জন্যও জমি দেখা হয়েছে। আমবাড়ি-ফালাকাটা শিল্পতালুকে অধিকাংশ প্লট বিক্রি হয়ে গিয়েছে। ডাবগ্রাম টু’য়ের প্লট বিক্রির জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে। এখানেও জমি পড়ে থাকবে না।
সিআইআইয়ের উত্তরবঙ্গ জোনের ভাইস চেয়ারম্যান সঞ্জিত সাহা বলেন, লক্ষ্যণীয় দিক হল বিভিন্ন জায়গায় শিল্পতালুক তৈরি হওয়ায় স্থানীয় উদ্যোগীরা লাভবান হবেন। বাইরে থেকে বিনিয়োগ আসবে সেই ধারণা ছেড়ে এলাকার বিনিয়োগকারীদের দিকে আরও বেশি করে নজর দেওয়া দরকার। নতুন উদ্যোগীদের আমরা সংগঠন থেকে নানাভাবে টেকনিক্যাল সাপোর্ট, প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি। নতুন শিল্পতালুকগুলিতে যাঁরা ইউনিট খুলবেন তাঁদেরও আমরা সহযোগিতা করব। সিআইআইয়ের উত্তরবঙ্গ জোনের এমএসএমই প্যানেলের চেয়ারম্যান মোহন দেবনাথ বলেন, নতুন এই উদ্যোগের উল্লেখযোগ্য দিক হল- এসব জায়গায় জমি প্লটিংয়ের আগেই বিনিয়োগকারীদের নিয়ে সরকার বসেছে। বিনিয়োগকারীরা কী ইউনিট করতে চান, কার কতটা জমি লাগবে, বিদ্যুতের চাহিদা কতটা আছে সেটা বলতে পেরেছেন। এথেলবাড়িতে শিল্পতালুকের জন্য যতটা জমি রাখা হয়েছে চাহিদা তার থেকে বেশি আছে। জয়গাঁতেও প্রচুর সম্ভাবনা। পরিকাঠামো গড়ে প্লটিংয়ের কাজ শুরু হয়ে যাবে। কালিম্পংয়ের বিশেষ ভূমিরূপ ও পরিবেশের কারণে স্ট্যান্ডার্ড ডিজাইন ফ্যাক্টরি’র মতো পরিকাঠামো গড়ার জন্য আমরা বলেছি। সেখানে শিল্পতালুকে ফাঁকা জমি রাখার পাশাপাশি, বিল্ডিং তৈরির কথা ভাবা হচ্ছে। এরফলে সেখানে কেউ প্যাকেজিং ইউনিট বা নুডুলস তৈরির মতো ছোট ইউনিট গড়লে তিনি প্রয়োজনীয় ঘর পেয়ে যাবেন। আবার কেউ নার্সারি করতে চাইলে তিনি প্রয়োজনীয় ফাঁকা জমিও পেয়ে যাবেন।
কালিম্পংয়ে শিল্পতালুকের জন্য ১০ একর জমি চিহ্নিত করেছে জেলা প্রশাসন। জয়গাঁর শিল্পতালুকটি ১১ একর জমি নিয়ে তৈরি হচ্ছে। চারদিকে প্রাচীর দিয়ে জায়গাটি ঘিরে ফেলা হয়েছে। সেখানে যাওয়ার জন্য বড় রাস্তা বের করতে হবে। জেলা প্রশাসন বিষয়টি দেখছে। এথেলবাড়ি শিল্পতালুকটি ৪২ একর জমির উপর গড়ে উঠছে। সেখানে তিনদিকে সীমানা প্রাচীর তোলা হয়েছে। একদিকে নদী থাকায় সেখানে প্রাচীর দেওয়ার ব্যাপারটি সেচদপ্তর দেখছে। এথেলবাড়িতে সিমেন্টের পাইপ, স্ল্যাব তৈরির একটি ক্লাস্টার রয়েছে। সেখানকার বিনিয়োগকারীরাই এতে বেশি আগ্রহ দেখিয়েছেন। ডব্লুবিএসআইডিসিএলের কর্তারাও পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, প্রতিটি শিল্পতালুকে জমি বণ্টনের ক্ষেত্রে স্থানীয় বিনিয়োগকারীদেরই প্রাধান্য দেওয়া হবে।