বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
তবে সরকারের এই পদক্ষেপকে তেমন আমল দিতে চাইছেন না আন্দোলনরত পার্শ্বশিক্ষকরা। আন্দোলনকারীদের পক্ষে তথা পার্শ্বশিক্ষক ঐক্য মঞ্চের আহ্বায়ক ভগীরথ ঘোষ সোমবার বলেন, আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতি মেনে দপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্তাদের আগাম জানিয়েই এই কর্মসূচি পালন করছি। গত ১৫ বছর ধরে পার্শ্বশিক্ষকরা বঞ্চনার শিকার হয়ে চলেছেন। আমাদের এখন দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। তাই সরকারের এসব সার্কুলারে পার্শ্বশিক্ষকরা আর ভয় পান না। সরকার যদি সত্যিই কোনও দমনমূলক পদক্ষেপ করে, তাহলে আমরা আদালতে যেতে বাধ্য হব। যেভাবে আদালত থেকে নির্দেশ নিয়ে আমরা এই অনশন আন্দোলনে বসেছি, ঠিক সেভাবেই ফের আইনের দরজায় কড়া নাড়ব সরকারের এহেন নিপীড়নমূলক মনোভাবের বিরুদ্ধে।
এদিকে, টানা ১৯ দিন অনশন চালানো পার্শ্বশিক্ষকদের স্থায়ীকরণ ও বেতন সংক্রান্ত দাবিদাওয়া সম্পর্কে সরকারের অবস্থান জানতে বিরোধীদের দাবি সত্ত্বেও শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সোমবার বিধানসভায় কোনও বিবৃতি দিলেন না। সদনে উপস্থিত থেকেও তাদের আনা দৃষ্টি আকর্ষণী প্রস্তাবের বিষয়ে মন্ত্রী কর্ণপাত না করায় স্বাভাবিকভাবে ক্ষুব্ধ হয় বাম ও কংগ্রেস পরিষদীয় শিবির। এ নিয়ে সদনের ভিতরে একদফা হল্লাও করে তারা। তবে এদিন তারা এই ইস্যুতে ওয়াকআউট বা বড় ধরনের বিক্ষোভ দেখানোর পথে হাঁটেনি। যদিও আগামীকাল, বুধবার পার্শ্বশিক্ষকদের অনশন নিয়ে তারা মুলতুবি প্রস্তাব এনে হইচই পাকানোর পরিকল্পনা করেছে।
এদিন অধিবেশনের প্রথমার্ধে প্রশ্নোত্তর পর্বের শেষে পার্শ্বশিক্ষকদের আন্দোলন তথা অনশন কর্মসূচি নিয়ে বিরোধীদের আনা দৃষ্টি আকর্ষণী প্রস্তাবের বিষয়টি উল্লেখ করেন স্বয়ং অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। একই ইস্যুতে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান, বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী সহ বাম ও কংগ্রেস শিবিরের একাধিক বিধায়ক পৃথকভাবে এই প্রস্তাব জমা দিয়েছিলেন। অধ্যক্ষ নিজে উল্লেখ করলেও তিনি নিয়ম মেনে এ নিয়ে কোনও আলোচনার নিদান দেননি। যদিও এই সময় শিক্ষামন্ত্রী সদনে উপস্থিত ছিলেন বলে বিরোধী শিবির থেকে এ নিয়ে সরকারের অবস্থান জানানোর দাবি ওঠে। কিছু সময় অপেক্ষা করলেও পার্থবাবু কোনও প্রতিক্রিয়া না দেখানোয় অধ্যক্ষ বিরোধীদের শান্ত হওয়ার পরামর্শ দেন। যদিও সুজনবাবুরা গলা চড়িয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বিবৃতির দাবিতে অনড় থাকেন। অন্য দপ্তর সংক্রান্ত বিষয়ে আনা বিধায়কদের দৃষ্টি আকর্ষণী প্রস্তাব সম্পর্কে পার্থবাবু সদনে অনুপস্থিত সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের তরফে জবাব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে বিরোধীরা আরও হল্লা বাধায়। পরে সাংবাদিক বৈঠকে সুজনবাবু-মনোজ চক্রবর্তীরা বলেন, ২০০৯ সালে বিরোধী নেত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালনের দাবিতে ১৯ দিন ধরে অনশন করা পার্শ্বশিক্ষকদের প্রতি বিন্দুমাত্র মানবিকতা দেখাতে চায় না এই সরকার। কেন তাঁরা আজ এত উদাসীন, তার জবাব পার্থবাবুদের দিতেই হবে সদনে। নাহলে অধিবেশনের কাজে আমরা বিঘ্ন ঘটাতে এবার বাধ্য হব।