বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
এ ব্যাপারে রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, এবছর রাজ্য সরকারের তরফে লোকসঙ্গীত শিল্পী পরীক্ষিৎ বালাকে সঙ্গীত মহাসম্মান দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন। সারা দেশের পাশাপাশি বিদেশেও লোকসঙ্গীত পরিবেশন করে সুনাম অর্জন করেছেন তিনি। উনি পূর্বস্থলীর গর্ব।
জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালে রাজ্যের তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের তরফে পরীক্ষিৎবাবুকে সঙ্গীত সম্মান দেওয়া হয়। বাংলা চলচ্চিত্র সমিতি তাঁকে বিশেষ সম্মান দেয়। বেশ কয়েকটি নামী টিভি চ্যানেল থেকেও বিশেষ সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে শিল্পীকে। বিভিন্ন সঙ্গীত শিল্পীদের স্মৃতি সম্মানও পেয়েছেন। এবার রাজ্যের তরফে তাঁকে নতুন সম্মানে ভূষিত করার খবরে উচ্ছ্বসিত তাঁর প্রতিবেশী থেকে গ্রামের বাসিন্দারা।
বিদ্যানগরের বাসিন্দা তারাপদ রায় বলেন, কিশোর বয়স থেকে পরীক্ষিৎদার কাছে লোকসঙ্গীত শিখেছি। উনি আমার সঙ্গীত গুরু। তাঁর বহু গানের ক্যাসেট ও সিডি আছে। আমেরিকায় গিয়েও গান গেয়েছেন। রাজ্য সরকার এবার যোগ্য লোককেই সেরা সম্মান দিতে চলেছে। এই খবর শুনে আমরা সমস্ত বিদ্যানগরের মানুষ খুশি।
খুব ছোটবেলায় শেফালি চক্রবর্তী নামে বিদ্যানগরের এক শিক্ষিকার কাছে লোকসঙ্গীত শিখতেন পরীক্ষিৎ বালা। তিনি পড়াশোনা করেছেন বিদ্যানগর গয়ারাম দাস বিদ্যামন্দির ও নবদ্বীপ বিদ্যাসাগর কলেজে। পরে রাজ্য সরকারের কৃষি ও সেচ দপ্তরে চাকরি পান। কিন্তু লোকসঙ্গীতের টানে চাকরি ছেড়ে দিয়ে কলকাতায় চলে যান। সেখানে নামী লোকশিল্পীদের সঙ্গে গাইতে শুরু করেন। তারপর অবশ্য পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। তাঁর একের পর এক গানে ক্যাসেট স্কলের মন ছুঁয়ে যায়। বাংলাদেশেও তাঁর গানের প্রচুর ভক্ত রয়েছেন। ভারতের অধিকাংশ রাজ্যে গিয়ে লোকসঙ্গীত গেয়েছেন। আমেরিকা, সিঙ্গাপুর সহ ভিন দেশে গান গেয়ে সুনাম পেয়েছেন পূর্বস্থলীর শিল্পী। বর্তমানে ৬৪ বছর বয়সে তাঁর গানের কদর কমেনি। এখনও মাসের অর্ধেক দিন তাঁর গানের শো রয়েছে। সারা বাংলায় পরীক্ষিত বালার শতাধিক শিষ্য গান গেয়ে সুনাম পেয়েছেন।
শিল্পীর বড় ছেলে পিন্টু বালা বাবার কাছে গান শিখে এখন নামী লোকসঙ্গীত শিল্পী হয়ে উঠেছেন। তিনি বলেন, বাবার এই সম্মান পাওয়াটা আমাদের কাছে খুব বড় পাওনা। অনুষ্ঠানে বাবার সঙ্গে থাকার চেষ্টা করব।
পরীক্ষিৎ বালা বলেন, গান গেয়ে অনেক পুরস্কার পেয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী আমাকে সঙ্গীত মহাসম্মানের জন্য নির্বাচিত করেছেন। এটা জীবনের বড় পাওনা।