বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
রেশন ডিলারদের সব সংগঠনই কুইন্টাল পিছু আড়াইশো টাকা কমিশন দাবি করেছে। তাদের একটি বিকল্প প্রস্তাবও আছে। সেটি হল, রেশন ডিলারদের মাসে অন্তত ৩০ হাজার টাকা আয়ের ব্যবস্থা করে দিতে হবে।
রাজ্য খাদ্য দপ্তর পুজোর ছুটির পর রেশন ডিলারদের আধার নম্বর সংযুক্তিকরণের প্রশিক্ষণ শিবির চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু ডিলাররা রাজি না হওয়ায় এই উদ্যোগ সেভাবে শুরু করা যায়নি। তবে আজ, মঙ্গলবার ডিলাররা প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দেবেন বলে অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইসের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু জানিয়েছেন। তবে যৌথ মঞ্চের তরফে ওয়েষ্ট বেঙ্গল এম আর ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নিখিলেশ ঘোষ জানিয়েছেন, কমিশন আড়াইশো টাকা করলে তবেই আধারের কাজ করা হবে। তার আগে প্রশিক্ষণ নেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই।
এখন রেশন ডিলাররা প্রতি কুইন্টালে ৫৪ টাকা করে কমিশন পান। রেশন ডিস্ট্রিবিউটরদের ১৬ টাকা কমিশন দেওয়া হয়। খাদ্য দপ্তর ডিলারদের কমিশন আরও ১৬ টাকা বাড়ানোর জন্য অর্থ দপ্তরের কাছে যে প্রস্তাব পাঠিয়েছিল, তা অনুমোদিত হয়েছে বলে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে। ডিলারদের ১৬ টাকা করে কমিশন বৃদ্ধির নির্দেশিকা খুব শীঘ্র জারি হতে পারে বলে খাদ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে।
কিন্তু ১৬ টাকা কমিশন বৃদ্ধিতে ডিলাররা একেবারেই খুশি নন। আড়াইশো টাকা কমিশন করার যে দাবি ডিলারদের সংগঠনগুলি তুলছে, তা আগেই বাতিল করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। রেশন ডিলারদের কমিশনের অর্ধেক টাকা রাজ্য সরকার দেয়। বাকি অর্ধেক দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় সরকার আগেই জানিয়ে দিয়েছে, বাড়তি কমিশন দিতে গেলে তার দায় রাজ্য সরকারকে নিতে হবে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি রাজ্য সরকার নিজেদের অর্থে কমিশন বাড়িয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের উপরও কমিশন বৃদ্ধির ব্যাপারে চাপ বাড়ছে। কেন্দ্রীয় খাদ্য মন্ত্রক এব্যাপারে অর্থ মন্ত্রকের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছিল। কিন্তু তা অনুমোদন পায়নি। এখন কেন্দ্রীয় সরকার বাইরের এজেন্সিকে দিয়ে ডিলারদের কমিশন বাড়ানোর দাবির যৌক্তিকতা খতিয়ে দেখছে।
রেশন দোকানে এখন ইলেকট্রনিক পয়েন্ট অব সেলস (ই-পস) যন্ত্র বসে গিয়েছে। ই-পস বসলে রেশন ডিলারের কুইন্টাল প্রতি আরও ১৭ টাকা অতিরিক্ত কমিশন পাওয়ার কথা। কিন্তু এরাজ্যে একটি বেসরকারি সংস্থা নিজের খরচে ওই যন্ত্র রেশন দোকানে সরবরাহ করেছে। এটির রক্ষণাবেক্ষণের কাজ তারাই করবে। ওই সংস্থা অতিরিক্ত কমিশন থেকে ১১ টাকা করে পাবে।
কেন্দ্রীয় সরকার আধার সংযুক্তিকরণের কাজ ডিসেম্বর মাসের মধ্যে শেষ করতে বলেছে। ডিলারদের আধার নম্বর সংযুক্ত না হলে চাল-গমের উপর ভর্তুকি দেওয়া হবে না, এমন হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পে ৬ কোটি ১ লক্ষ ও রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পে ৩ কোটিরও বেশি রেশন গ্রাহক আছেন। এই বিপুল সংখ্যাক গ্রাহকের আধার নম্বর ই-পস যন্ত্রের মাধ্যমে সংযুক্ত করার কাজ ডিলারদের সাহায্য ছাড়া তাড়াতাড়ি সম্ভব নয়।