বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
সংগঠনের হাল-হকিকত নিয়ে আলোচনার জন্য আজ, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে দলের রাজ্য কমিটির বৈঠক। চলবে কাল, শুক্রবার পর্যন্ত। বৈঠকে সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি হাজির থাকবেন আগাগোড়া। তবে দুপুরে রাজ্য কমিটির বৈঠকের বিরতিতে ঘণ্টাচারেক সময় জুড়ে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে হবে দলের শতবর্ষে পদার্পণের সমাবেশ। সেখানেও ইয়েচুরি, সূর্যবাবুরা বক্তব্য রাখবেন দলের শতবর্ষের ইতিহাস এবং সমসাময়িক রাজনীতিতে কমিউনিস্ট তথা বামপন্থী আন্দোলনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে। দলের পাশাপাশি জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের শতবর্ষ পালিত হচ্ছে এ বছর। সিপিএম’ও এই উপলক্ষে দেশের নানা প্রান্তে কর্মসূচি পালন করছে। আজ ইন্ডোরের সভায় সেই কর্মসূচিও পালন করবে রাজ্য পার্টি। সেজন্য বিশেষ বক্তা হিসেবে ঐতিহাসিক ও চিন্তাবিদ চমনলালকে হাজির করছে তারা। শতবর্ষ উপলক্ষে ইন্ডোর স্টেডিয়াম ও ধর্মতলা চত্বর সহ শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় লাল পতাকা ও আলো দিয়ে সাজানো হয়েছে। রাজ্য নেতৃত্ব সব জেলা পার্টিকে নিদান দিয়েছে, নিদেনপক্ষে এরিয়া কমিটির অফিস পর্যন্ত সর্বত্র আজ ১০০টি করে দলীয় পতাকার পাশাপাশি লাল আলোর মালা দিয়ে সাজাতে হবে।
পুজোর মুখে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক বসে সিপিএমের। সেখানে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে পার্টির চলার পথ নিয়ে চর্চার পাশাপাশি গোটা দেশে দলের সাংগঠনিক হাল নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। বিশেষ করে চার বছর আগে কলকাতায় অনুষ্ঠিত দলের সাংগঠনিক প্লেনামে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনেক রাজ্যেই ঠিকমতো কার্যকর না হওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে নেতৃত্ব। কেন্দ্রীয় কমিটিই ঠিক করে, সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিকে এব্যাপারে অপ্রিয় হলেও কিছু কঠোর পদক্ষেপ করতেই হবে। দল বাঁচাতে এই ধরনের পদক্ষেপ জরুরি বলেই তারা মনে করে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সেই মনোভাব নেয় তার আগে বিভিন্ন রাজ্য পার্টি থেকে পাওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে। এবার আলিমুদ্দিনের কর্তারা কেন্দ্রীয় কমিটির সেই নিদানের ভিত্তিতে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণের কথা ভেবেছেন। ইতিমধ্যে রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীতে এ নিয়ে একপ্রস্থ আলোচনা হয়েছে। বয়স বা অসুস্থতার কারণে অনেকটা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়া সম্পাদকমণ্ডলীর কয়েকজন সদস্যকেও স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নেওয়ার আগাম প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। যদিও তাঁরা তাতে রাজি না হওয়ায় সেই উদ্যোগ খানিকটা হলেও থমকে গিয়েছে। তবে নেতৃত্বে ‘বৃদ্ধতন্ত্রে’র তকমা ঘোচাতে রাজ্য ও জেলা পর্যায়ের নেতৃত্বে কিছু অদলবদল করতে বদ্ধপরিকর সূর্যবাবুরা। নেতৃত্বের পাশাপাশি নিষ্ক্রিয় সদস্যদের যাতে কোনওভাবে রেয়াত না করা হয়, সেব্যাপারেও চূড়ান্ত ডেটলাইন ঠিক করতে চাইছেন তাঁরা। যদিও ইতিমধ্যে গত এক বছরে এই অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েক হাজার পার্টি সদস্যকে ছেঁটে ফেলেছে নেতৃত্ব। বর্তমানে রাজ্য পার্টির সদস্য সংখ্যা কমতে কমতে ১ লক্ষ ৬৭ হাজারের কাছাকাছি দাঁড়িয়েছে। উল্লেখ্য, সংগঠনের পাশাপাশি আন্দোলন কর্মসূচি নিয়েও এবারের বৈঠকে চর্চা চলবে। বিশেষ করে কংগ্রেসের মতো দলের সঙ্গে স্থায়ী ও বিশ্বাসযোগ্য জোট করার জন্য কীভাবে যৌথ কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে, তা নিয়েও আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।