কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট। দূর ভ্রমণের সুযোগ। অর্থ প্রাপ্তির যোগ। যে কোনও ... বিশদ
সব্যসাচী দত্ত এদিন জানান, তৃণমূলে থেকে দলের সমালোচনা করেছি। ওখানে যখন থাকব না, তখন ওই দল সম্পর্কে কিছু বলব না। কিছু বলার মনে হলে যোগদানের পর বলব। মেয়র পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর থেকে তৃণমূলের উচ্চ নেতৃত্ব আমার সঙ্গে এখনও পর্যন্ত যোগাযোগ করেননি। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির হাত ধরে তাঁর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জল্পনাকে ঘিরে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় কটাক্ষ করে বলেন, যাঁদের হাত বড় তাদের হাত ধরেই যায়। গিয়ে দেখুক। পশ্চিমবঙ্গে দুটি ফুল শক্তিশালী না একটি ফুল শক্তিশালী মানুষ তা বিচার করবে। বন্যায় দুটো লোক ভেসে চলে গেল তাকে আমরা বরং খুঁজে দেখতে পারি। তবে আগে যাক। অনেক দিন ধরেই তো শুনছি। বাজার গরম করে লাভ নেই। তাঁর উপস্থিতিতে অমিত শাহের হাত ধরে বিজেপিতে সব্যসাচীর যোগদানের সম্ভাবনা নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে দিলীপ ঘোষ বলেন, সেরকম কথা আমিও শুনেছি। সবাইকে আমাদের দলে স্বাগত।
সম্প্রতি তৃণমূলের কাউন্সিলাররাই সব্যসাচী দত্তকে মেয়র পদ থেকে সরানোর জন্যে তাঁর বিরুদ্ধে বিধাননগর পুরসভায় অনাস্থা এনেছিলেন। পরে অবশ্য তিনি নিজেই মেয়র পদ থেকে ইস্তফা দেন। তারপর থেকে তৃণমূলের কর্মসূচিতে তাঁকে দেখা যাচ্ছিল না। বিদ্যুৎ ভবনে কর্মচারী সংগঠনের সভায় গিয়ে তাঁর মন্তব্য দল বিরোধী ছিল বলে তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়ে দিয়েছিল। তারপরেও সব্যসাচী দত্ত তাঁর অবস্থান থেকে সরেননি। এক বিজেপি নেতাকে তাঁর বাড়িতে লুচি আলুর দম খাওয়ানোকে ঘিরে তাঁর গেরুয়া শিবিরে যোগদানের বিষয়ে জল্পনা শুরু হয়। কয়েক দিন আগে সল্টলেকে তাঁর ক্লাবের গণেশ পুজোয় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সহ একাধিক বিজেপি নেতাকে মঞ্চে দেখা যায়। তাতে যোগদান নিয়ে চর্চা আরও জোরালো হয়। অবশেষে সোমবার তিনি স্পষ্ট জানালেন, জল্পনার কিছু নেই, আমি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছি। এদিন মিছিল করে তাঁর নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে যাওয়ার কথা। তবে তাঁর সঙ্গে আর ঘনিষ্ঠ কেউ বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন কি না সে বিষয়ে সব্যসাচী বলেন, আমি আমার কথা শুধু বলতে পারি।