কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট। দূর ভ্রমণের সুযোগ। অর্থ প্রাপ্তির যোগ। যে কোনও ... বিশদ
বিগত কয়েকমাসে কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলা থেকে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ মাদক উদ্ধার করেছে পুলিস। ধরা পড়েছে ভিন রাজ্যের বাসিন্দারাও। তাদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক মাদক পাচারচক্রের যোগ মিলেছে। এরাজ্যে নিষিদ্ধ মাদকের কারবার যেভাবে বাড়ছে, তাতে রীতিমতো উদ্বিগ্ন গোয়েন্দারা। তাঁদের চিন্তা বাড়িয়েছে ক্রেতাদের মধ্যে অধিকাংশ স্কুল কলেজ পড়ুয়া হওয়ায়। মাদক কারবারের রমরমা রুখতে সমস্ত জেলাতেই শুরু হয়েছে অভিযান। কিন্তু তারপরেও কতটা কাজ হচ্ছে, পাঞ্জাব পুলিসের পাঠানো চিঠির পর তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। দেখা যাচ্ছে, শুধু পাঞ্জাব নয়, অন্যান্য রাজ্যেও মাদক কারবারে যুক্ত অভিযুক্তরা পুলিসি ধরপাকড়ের ভয়ে এরাজ্যে এসে লুকিয়ে থাকছে। শুধু নিরাপদে থাকাই নয়, এখানে বসেই সংশ্লিষ্ট রাজ্যে মাদক কারবারকে নিয়ন্ত্রণ করছে।
পাঞ্জাব পুলিসের হাতে এই তথ্য কী করে এল? পুলিস সূত্রে খবর, পাঞ্জাবে নিষিদ্ধ মাদকের কারবার বেড়েছে ব্যাপকহারে। যে কারণে প্রশাসনের তরফে এর বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান শুরু হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়েও বড় অপরাধীদের খোঁজ মিলছে না। এমনকী আদালত তাদের পলাতক ঘোষণা করেছে। তাই তারা কোথায় রয়েছে, তা নিয়ে খোঁজখবর শুরু হয়। মাদক কারবারে ধরা পড়া কয়েকজনের মোবাইল ঘেঁটে দেখা যায়, পলাতক অপরাধীরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। এরাজ্যের সিম ব্যবহার করছে তারা। ভুয়ো পরিচয়পত্র দিয়ে তা নেওয়া হয়েছে। নিয়মিত তারা যোগাযোগ রাখছে পাঞ্জাবে। সেখান থেকেই পাঞ্জাবের পুলিস অফিসাররা নিশ্চিত হন, এরাজ্যেই থাকছে ভিন রাজ্যে মাদক কারবারে যুক্ত পলাতক অভিযুক্তরা। জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদ, মালদহ সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় তারা লুকিয়ে রয়েছে। এও তথ্য উঠে আসে, এখানকার মাদক কারবারিদের সঙ্গে তারা হাত মিলিয়েছে। আন্তঃরাজ্য মাদক পাচারচক্রের ব্যবসা ফেঁদে বসেছে।
তারপরই পাঞ্জাব পুলিসের তরফে বিষয়টি জানানো হয় রাজ্য পুলিসকে। চিঠি লিখে বলা হয়েছে, তাদের কেসে পলাতক অভিযুক্তদের ধরে দিতে। কিন্তু এই তথ্য হাতে আসার পরই রীতিমতো চমকে গিয়েছেন পুলিসের আধিকারিকরা। নিষিদ্ধ মাদক কারবারে জড়িত অপরাধীদের সম্পর্কে খোঁজখবর চালায় সিআইডি। সেই কারণেই এই চিঠি তাদের কাছে গিয়েছে। কিন্তু সিআইডি প্রধানই সারদা রোজভ্যালি মামলায় সিবিআইয়ের নোটিস পাওয়ার পর আড়ালে রয়েছেন। এক্ষেত্রে কোথায় তল্লাশি চালানো হবে বা সিদ্ধান্ত কী হবে, তা নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন অফিসাররা।। সেই কারণেই জেলাগুলিকে জানিয়ে দিয়েই নিজের কাঁধ থেকে দায় ঝেড়ে ফেলতে চাইছে সিআইডি।